পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেনারাম করুণরসে এতই অভিভূত হইয়া পড়িয়াছে যে তাহার চক্ষে শতধারা বহিতেছে ; বংশীদাসের পা জড়াইয়া সে শতবার ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া দমাবৃত্তি ত্যাগ করিয়া সৎভাবে জীবন যাপন করিতে লাগিল। এই কাহিনীটি বংশীদাসের কন্স, প্রাচীন বঙ্গের মহিলা-কবি চন্দ্রাবতী বর্ণনা করিয়াছেন। ১৭শ শতাব্দীর শেষ ভাগে বীরা খাঁ যখন বধ মান জেলার সিলিমাবাদ পরগণার শাসনকর্তা তখন কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ ( বা ক্ষমানন্দ) নামক এক কবির আবির্ভাব হইয়াছিল_ অনেকে মনে করেন যে কেতকাদাস ও ক্ষেমানন্দ দুই ব্যক্তি একযোগে এই কাব্যখানি রচনা করিয়াছিলেন । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহা নহে ; কবি মনসাকে কেতকাদেবী বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন এবং তঁহারই দাস বলিয়া নিজেকে কেতকাদাস রাপে অভিহিত করিয়াছেন । সকল দিক দিয়া বিবেচনা করিলে ক্ষেমানন্দকেই মনসামঙ্গল শাখার শ্রেষ্ঠ কবি বলিতে হয়। পাণ্ডিত্যের সহিত কবিত্বের, চরিত্র চিত্রণের_সহিত ভাষার মাধুর্যের এরূপ সমন্বয় আর কোনও কবির মধ্যে দেখা যায় না। আমরা তাহার অল্প পরিচয় দিতেছি— ,আসিয়া ইন্দ্রের কাছে, বেহুল নাচনী নাচে_ -----۔ প্রাণপতি জিয়াইবে কাজে ৷ থাকি থাকি পদ ফেলে মরালগমনে চলে, $ মুখ জিনি পূর্ণিমার শশী । খদির কাঠের খাল, বেহুলার মিষ্ট বোল, মোহ গেল যত স্বৰ্গবাসী ॥ একদৃষ্ঠে দেবগণ, করে সবে নিরীক্ষণ, বেহুলা নাচেন মুরপুরে । নাহি হয় তালভঙ্গ, মনে বড় লাগে রঙ্গ, প্রমত্ত ময়ুর যেন ফিরে ॥ বগুড়ার লাহিড়ীপাড়া নিবাসী জীবন মৈত্র কবিভূষণ ১১৫১ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৭৫৪ খৃষ্টাব্দে একথানি কাব্য রচনা করিয়াছিলেন ; ইহাতে শুধু পাণ্ডিত্যেরই পরিচয় ॐ{{Gग्नीं यांप्ल ? ইহা ছাড়া, বর্ধমান জেলার কালিদাস ১৬১৯ শকাব্দ অর্থাৎ ১৬৯৭-৯৮ খৃষ্টাব্দে একখানি কাব্য রচনা করেন। বীরভূম-সেহড়া নিবাসী বিষ্ণুপালেরও একখানি প্রাচীন কাব্য পাওয়া গিয়াছে। এই সকল অপেক্ষাকৃত খ্যাতনামা কবি ছাড়া মনসামঙ্গল কাব্য রচয়িতা প্রায় ৮০ জনের কাব্য পাওয়া গিয়াছে। ইহাদের কাব্যগুলি সাধারণতঃ বৈশিষ্ট্যবর্জিত ; १२