পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিপুরা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রান্ত ভবানীদাসের পাঁচাণী ঢাকা সাহিত্য পরিষৎ এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে প্রকাশিত হইয়াছে। ইহাতেও গ্রন্থকার সম্বন্ধে কিছুই জানা যায় না । স্বকুর মামুদের পাচালীও প্রকাশিত হইয়াছে ; কিন্তু ইহাতেও গ্রন্থকার সম্বন্ধে किडूहे खेuल्लथं नॉड़े। রংপুর জেলায় প্রাপ্ত পাঁচালীও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক প্রকাশিত হইয়াছে। তবে ইহার সহিত ভবানীদাসের রচনার সাদৃত এত অধিক যে ইহাও তাহাঁরই রচনা বলিয়া মনে হয় । মীনচেতন ও গোরক্ষ বিজয় দুই নামের কালিনী যথাক্রমে ত্রযুক্ত নলিনীকান্ত ভট্টশালী ও মুনসী আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কর্তৃক সম্পাদিত হইয় প্রকাশিত হইয়াছে ; ইহার একই গ্রন্থ। তবে বিভিন্ন পুথিতে রচয়িতার ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকায় ইহাদের প্রকৃত রচয়িত কে, তাহা জানিবার উপায় নাই । এই শাখার কাব্যকে একেবারেই উচ্চাঙ্গের বলা যায় না ; বিশেষ করিয়৷ ইহা ৰদি দেশের প্রকৃত সমাজ চিত্র হয়, তাহ হইলে দেশের উত্তক অধোগতি আতি, নিদারুণ হইয়াছিল বলিতে হইবে। বিবিধ মঙ্গলকাব্য ও পাঁচালী মঙ্গলকাব্যের প্রচার ও জনপ্রিয়তা দেখিয়া সকল ভক্তই নিজ নিজ আরাধ্য দেব-দেবীর মঙ্গলকাব্য রচনায় আত্মনিয়োগ করিয়াছিল ; তাই প্রায় সকল দেবদেবীরই মাহাত্ম্য-প্রচারক কাব্য দেখিতে পাওয়া যায়। তবে ইহাদের সকলের জনপ্রিয়তা সমান নহে ; ত হার কারণ এই যে শ্রেষ্ঠ কবিদের হাতে পড়িয়া মঙ্গলকাব্য এমন একট মুনির্দিষ্ট রূপ লাভ করিয়াছিল যে, আসলে কবি না হইলেও এরূপ একটি কাব্য বচনা করা আর আয়াস-সাধ্য রছিল না ; যে কেই ইচ্ছা করিলেই একটি মঙ্গলকাব্য রচনা করিতে পারিত। এখানে আর একটি কথা উল্লেখ করা আবগুক এই যে, উৎসাহী পর্যটক দেবদেবীর মাহায়ের পাশে তীর্থস্থানের মাহাত্ম্য কীর্তন করিয়া মঙ্গলকাব্য রচনা করিয়াছিল, এরূপ দৃষ্টান্তও পাওয়া যায়। সৰ্পভয়ভীত মানুষ যেমন মনসাদেবীর পূজা আরম্ভ করে, সেইরূপ বসস্ত রোগাক্রান্ত মানুষ প্রদাহ যন্ত্রণা হইতে দেহকে শীতল করিবার জন্ত শীতলাদেবীর পূজা প্রবর্তন করে। মনসাদেবীর স্তায় শীতলাও অনার্য-সমাজের লৌকিক দেবতা। ইহাৰ কাহিনীও মঙ্গলকাব্যের ছায়ায় রচিত হইয়াছে ; শিবভক্তকে অসংখ্য tూR