পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে রচিত রামচন্দ্রখান এবং দ্বিজ রঘুনাথের ‘অশ্বমেধ" পাঁচালী পাওয়া গিয়াছে। মহাভারতের প্রসিদ্ধতম কবি কাণীরাম দাস বধমান জেলায সিঙ্গিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আনুমানিক ১৬০২-৩ খ্ৰীষ্টাব্দে গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন । বিবিধ বিরুদ্ধ প্রবাদ থাকা সত্ত্বেও কাশীরাম যে সমগ্র মহাভারতেরই অনুবাদ করিয়াছিলেন তাহ একরূপ নিশ্চিত । অন্তান্ত কাব্যের ন্যায় কাশীরামের কাব্যেও যথেষ্ট প্রক্ষেপ রহিয়াছে। কিন্তু এই কাব্যের পুথি অনেক পাওয়া যাইতেছে বলিয়া প্রকৃত পাঠ নিধারণে বিশেষ কষ্ট হুইবে না। প্রচলিত মহা ভারত গ্রন্থের মধ্যেও কাশীরামকে পাইতে বিশেষ কষ্ট হয় না এবং পাঠকমাত্রেই তাহাকে বাঙালীর জাতীয় কৰি বলিয়া স্বীকার করিতে দ্বিধা করেন না । কাশীরাম ভক্ত কবি ; তাহার গ্রন্থে একাধারে ভক্তি এবং কাব্যরস পাওয়া যায়। তাই কাশীদাসী মহাভারত যেমন ধর্মপিপাসুর হৃদয় দ্রবীভূত করে, তেমনি কাব্যরসিকদের চিত্ত অধিকার করে । নিত্যানন্দ ঘোষ নামক মহাভারত রচধিতা এক কবিকে পাওযা যায়, কিন্তু তাহার বিষয়ে কিছুই জানা যায় না । বিশারদ রচিত ‘বন’ ও ‘বিরাট পর্বের’ সন্ধান পাওয়া গিয়াছে। বিরাট পর্ব রচনার কাল ১৬১২-১৩ খ্রীষ্টােব্দ । দ্বিজ হরিদাসের একথগু “অশ্বমেধ পৰ্ব’ পাওয়া গিয়াছে। রচনাকাল নিশ্চিত করিয়া বলা যায় না । 強 ১৬৯৯-১৭০০ খ্ৰীষ্টাব্দে রচিত কৃঞ্চানন্দের শাস্তিপব’ এবং তৎপুত্র অনন্ত রচিত ‘অশ্বমেধ পর্ব' পাওয়া গিয়াছে । ঘনশ্যাম দাসের ‘ভারত-পাচালি’ কাব্যের পুথি পাওয়া গিয়াছে, কিন্তু গ্রন্থকার বা রচনাকাল সম্বন্ধে নিশ্চিত করিয়া কিছুই জানা যায় নাই। কোচবিহারের মহারাজা প্রাণনারায়ণের আজ্ঞায় শ্রীনাথ ব্রাহ্মণ অনুমানিক ১৩৪০ খ্ৰীষ্টাব্দে আদি, বিরাট, ভীষ্ম ও দ্রোণ পর্ব রচনা করেন ; অন্ত কোন পর্ব রচনা করেন কিনা জানা যায় না, কারণ আর কোন পুথি পাওয়া যায় নাই । প্রাণনারায়ণের সভা কবি দ্বিজ রামেশ্বরও এক খণ্ড ‘ভারত পাচলি’ রচনা করেন । চন্দনদাস দত্ত প্রমীলার সহিত অৰ্জ্জুনের যুদ্ধ বর্ণনা করিয়া একটী কাব্য রচনা করেন । প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কবি কবিচন্দ্র দ্বিতীয় রঘুনাথ সিংহদেবের bూు