পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খঙ্গ: মীর হবীব। So 2 বিতরণ করা হইত। কৰ্ম্মচারী ও অযুচরবর্গের প্রতি দানে তিনি মুক্তহস্ত ছিলেন ( ১ ) । এজন্য ইহারা তাহার বিশেষ অনুরক্ত ছিল। পানভোজনের পারিপাটো, বন্ধুবর্গের প্রতিভোজনে এবং গীতবাদ্যের ব্যবস্থায় ষথেষ্ট ব্যয় করা BBB S BBBBBB BBS BBBB BBB BBBS BBB BBBBBBB BB তাহার সমধিক শ্রদ্ধা ছিল। গজদন্তনিৰ্ম্মিত স্মারকলিপিতে শয়নের পূৰ্ব্বে তিনি পর দিন পুরস্কার প্রদানের উপযুক্ত পাত্ৰগণের নাম লিখিয়া রাখিতেন । স্থজার জামাতা দ্বিতীয় মুর্শিদকুলী ঢাকার নায়েব-নাজিম নিযুক্ত হইয়াছিলেন। তাহার অনুগত মীর হবীব নামক জনৈক পারসিক দুবলমান যুবক তাহার সহিত ঢাকা গমন করেন । এই নীর হবীব উত্তরকালে মহারাষ্ট্রীয় আক্রমণসময়ে ( বর্গীর হাঙ্গামায় ) প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি প্রথমতঃ হুগলীতে সামান্তরূপ ব্যবসা করিতেন। বর্ণজ্ঞান না থাকিলেও ইনি পারসী ভাষায় স্বন্দর কথা কহিতে পারিতেন এবং বুদ্ধিমত্তা যথেষ্ট ছিল। হবীব নায়েব দেওয়ান হইয়া বসিলেন। নানা বিভাগের ব্যয়সংক্ষেপ করিয়া ও কয়েক প্রকার দ্রব্যের ব্যবসায় একচেটিয়া রাখিয়া তিনি প্রভূর যথেষ্ট অর্থসঞ্চয় করির দিলেন। কাৰ্য্যকুশলতায় ক্রমশঃ সুবাদারের অধিকতর প্রতিভাজন হইলেন । মীরহবীব, জালালপুরের জমিদার তুর্ উল্লাকে বিশ্বাসঘাতকতাপূর্বক নিহত করিয়া, তাহার সম্পত্তি হরণ করিলেন ; লাভের জন্ত তাহার আকরণীয় কাৰ্য্য কিছুই ছিল না। এই সময়ে ত্রিপুরার রাজার ভ্রাতুপুত্র জগৎরাম নির্বালি ত হইয়া ঢাকায় অবস্থিতি করিতেছিলেন। মীর হীবের সহিত ইহঁর পরিচয় হইল। নিজের লাভের আশায়, এবং তৎসহ প্রভুর প্রতিপত্তি বৃদ্ধির জন্ত মীর বীব রাজপুত্রের সহিত ত্রিপুরা-আক্রমণে সসৈন্তে অগ্রসর হইলেন। পাৰ্ব্বত্যপথে রাজপুত্ৰই পথ প্রদর্শক হইলেন। নবাবী-সৈন্ত ত্রিপুররাজ্যের সীমায় প্রবেশ করিলে, রাজা ভীত হইয়া পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে আশ্রয় লইলেন। সমগ্র সমতল ভূভাগ নিৰ্ব্বিবাদে মীর হবীবের পদানত হইল। চণ্ডীগড় ও জয়ন্তীত্বৰ্গ অধিকার করিয়া, তিনি প্রচুর অর্থলাভ করিলেন। ত্রিপুরার এই ভাগ এখন হইতে বাঙ্গলার সুবাদারের আয়ত্ত হইল। মীর হবীব রাজপুত্রের সহিত ত্রিপুরার বন্দোবস্ত করিয়া,সৈন্তের কিয়দংশ সহ তথায় এক জন ফৌজদার রাখিয়া দিলেন। রাজপুত্র রাজস্ব প্রদানের অঙ্গীকারে জমিদার হইলেন । হবীব, ( ) মুতাক্ষরীণ,-প্রথম খণ্ড ।