পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অঃ। জগৎ শেঠ । - هند সরফরাজ ইহাতে হাজির প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধাবান হইলেন। এই সময়েই হাজির পরামর্শে সৈন্তসংখ্যা হ্রাস করিয়া ব্যয়সংক্ষেপের ব্যবস্থা হইল। অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যগণ হাজির কৌশলে আলিবর্দী ধার দলপুষ্ট করিতেছিল। এদিকে সরফরাজ হাজির প্রতি সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করিতেছিলেন। এমন কি, তাহার হিতকাম সুহৃদগণ হাজির উপরে যে সমস্ত দোষারোপ করিতেন, এক সময়ে কেহ কেহ আত্মীয়বর্গসই হাজিকে বন্দীভূত করিবার যে পরামর্শ দিয়াছিলেন, তাহাও অকপটচিত্তে হাজিকে জ্ঞাত করাইয়াছিলেন। এই সরল ব্যবহারে প্রভুপুত্রের প্রতি জরায় হাজি আহম্মদের শ্রদ্ধাভক্তির বৃদ্ধি হওয়া দূরে থাকুক, তাহার চক্রান্তের পথ আরও পরিষ্কার করিয়া দিল। নবাব পাছে বন্ধুবর্গের অনুরোধ শীঘ্রই কার্য্যে পরিণত করেন, এই ভয়ে তাহার বিশ্বাসঘাতকতার অস্ত্র আরও শীঘ্র শীঘ্র শাণিত হইতেছিল। সরফরাজের বুদ্ধির দোষে অন্যান্য লোকেও তাহার বিপক্ষ হইয়াছিল। কথিত আছে, হাজি আহম্মদ, জগৎশেঠ ও রায়রায়ান আলমৰ্চাদকে স্বপক্ষে আনয়নের চেষ্টায় সফলমনোরথ হইয়াছিলেন ( ১ )। ফতেচাদ ১৭২৪ খৃষ্টাব্দের প্রথমে নবাব মুর্শিদকুলীর বিশেষ সাহায্যে সম্রাট্‌ মহম্মদ শার নিকটে জগৎশেঠ। উপাধি প্রাপ্ত হন , ইনিই প্রথম জগৎশেঠ (২ )। ইহার খুল্লতাত মাণিকচাদ শেঠ-মাত্র ছিলেন। ফতেচাদ মুর্শিদকুলীর বিশেষ প্রিয়পাত্র ছিলেন ; নবাবের ধনরক্ষক হইয়া জগৎশেঠ ধনেমানে ভারতের মধ্যে অন্ততম প্রধান ব্যক্তি হইয়া উঠেন। অনেক সময়ে জগৎশেঠের হওঁী দ্বারা দিল্লীতে রাজকর প্রেরিত হইত। সুজা খাও সমস্ত রাজকাৰ্য্যে ফতেচাদের পরামর্শ গ্রহণ করিয়া, তাহার সহিত আত্মীয়তা সুদৃঢ় করেন। জগৎশেঠের সহিত সরফরাজের মনোবাদের কারণ দুই ভাবে কথিত হইয়াছে,–মি: হলওয়েহু প্রথম প্রবাদের প্রচারক। তিনি লিখিয়াছেন,-“জগৎশেঠ ফতেচাদের পৌত্র মহাতাপ রায়ের সহিত একাদশ বর্ষায় এক অনিন্দাসুন্দরী বালিকার বিবাহ হয়। শেঠবধূর অনন্যসাধারণ রূপলাবণ্যের কথা শুনির সরফরাজ কৌতুহলপরবশ হইয়া জগৎশেঠের নিকট একবার তাহাকে দেখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন । এরূপ করিলে শেঠবংশে S BBBS BBBS BDBBB BBBBBB BBBBB BB BBB BBB লাঞ্ছিত হইতেন। (২) তারিখ, বাঙ্গালার মতে এই উপাধি ফররোর্থশের দত্ত। তিনি রাজ্য প্রাপ্তির জন্য মাণিকচাদের নিকটে কৃতজ্ঞ ছিলেন। পরিশিষ্টে জগৎশেঠের ফৰ্ম্মান দ্রষ্টব্য।