পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

めob" বাঙ্গলার ইতিহাস । ৪র্থ অঃ। চিরদিনের মত কলঙ্ককালিমা লেপন করা হইবে, ইত্যাদি বলিয়া জগৎশেঠ অনুনয় ও কাতর প্রার্থনা জানাইলেও সরফরাজ অণুমাত্র বিচলিত হইলেন না। বরং তাহার অসন্মতির ভাব দেখিয়া, তাহারই সমক্ষে একদল অশ্বারোহী সৈন্যকে শেঠবাটী বেষ্টন করিবার আদেশ দিলেন। তৎপরে কোরাণ স্পর্শ করিয়া শপথ করিয়া বলিলেন, বধূকে একবার নবাবভবনে প্রেরণ করিলে দর্শনমাত্র করিয়া নিৰ্ব্বিরে পুনঃপ্রেরণ করা হইবে। জগৎশেঠ বলপ্রকাশের ভয়ে অগত্য এই প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। অতঃপর, নিশাযোগে সঙ্গোপনে শেঠবধূ নবাবভবনে প্রেরিত ও পুনরানীত হইলেন’ ( ১ ) । শেঠগৃহের জনশ্রুতি নির্দেশ করে যে,-নবাব মুর্শিদকুলী খণর সময়ে সাত কোটা টাকা শেঠগৃহে গচ্ছিত ছিল বলিয়া, সরফরাজ ফতেচাদের নিকট ঐ টাকার দাবী করিলে, তিনি উহা অস্বীকার করিয়াছিলেন। এই জন্ত সরফরাজ ফতেচাদের যথেষ্ট তিরস্কার ও অবমাননা করেন। দেশীয় লেখকগণ কোন রূপ কারণ নির্দেশ না করিয়াই, ফতে চাদকে আলিবর্দীর সপক্ষে চক্রান্তে লিপ্ত দেখাইয়াছেন। আলমূৰ্চাদ নানারূপে অবমানিত হইয়া, অন্য পক্ষ অবলম্বন করেন বলিয়া প্রসিদ্ধি আছে। যাহা হউক, হাজি মুর্শিদাবাদ দরবারে আত্মপক্ষ প্রবল করিয়া আলিবর্দী খণর নিকটে তাহার নিজের অবমাননা প্রভৃতির অতিরঞ্জিত বর্ণনা পাঠাইতে আরম্ভ করিলেন। আলিবর্দী খাঁ অগ্রজের কথায় বিশ্বাস করিয়া, উৎকোচ প্রভৃতি প্রদানে দিল্লী-দরবার হইতে নিজ নামে তিন হবার সনদ প্রাপ্তির উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। নিতান্ত পক্ষে বিহারের শাসনকর্তৃত্ব যাহাতে স্বাধীনভাবে তাহাকে অপিত হয়, সেই প্রার্থনা থাকিল ( ২ )। বাদশাহসরকারের এখন নিতান্ত ভগ্নদশা ; সম্প্রতি নাদির শাহের পদার্পণের ফলে অর্থের ( ১ ) মিঃ হল ওয়েল বালিকার কথায়ও ইঙ্গিত করিবার অবসর ছাড়িবার পাত্র নহেন। ঐতিহাসিক জৰ্ম্ম হলওয়েলের উক্তির ভাবমাত্র সঙ্কলন করিয়াছেন। দেশীয় প্রবাদ শেঠবংশের এই কলঙ্কের কথা সমর্থন করেন। (২) তারিখ ইউসুফী। গোলাম হোসেন আলিবর্দী খাঁর বিহারলাভের পরে ও বঙ্গে আসিবার পূৰ্ব্বে স্ববাদারীপ্রাপ্তির চেষ্টা স্বীকার করেন। তারিখ বাঙ্গালীর লেখক বলেন, DDBB BB BBBBB BBS BBBBBBS BBB BB BB BBBS BBB BB BBBB BBS DDBBB BBBBB BBBB BB BBB BBBB BBB BBBB BB BBB BB BBB BBBBS BBBB BB BBBB BBBB BBBBBB SBBBBBS BBB BBBBB BBBB BBBBBBB BBB BBBB BBB BB BBB BBB BB BBS BBBDD BBB অলিবন্দীর বিহার-সনন্দ আনাইবার কথা পুর্বেই উল্লেখ করা হইয়াছে।