পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X > * বাঙ্গলার ইতিহাস । ৪র্থ অং পরে সন্ধরাজের বিরুদ্ধে অভিযানের কথা প্রচারিত হইল ; ইহাতে অনেকেই ভয়চকিত হইল; কিন্তু আলিবর্দী খাঁ নানা ভাবে সরফরাজের অত্যাচার-কাহিনী বর্ণন করিলেন, এবং তাহারা সকলেই পূৰ্ব্বে শপথ করিয়াছেন বলিয়া, আর কোন আপত্তি উঠিল না ( ১ )। আলিবর্দী খাঁর অভিযানের সংবাদে মুর্শিদাবাদে হুলস্থল পড়িয়া গেল। আলিবর্দী সরফরাজকে পত্রে লিখিয়াছিলেন,-“পরিবারবর্গের অবমাননার ংবাদ পাইয়া, অনুমতি না লইয়াই এতদূর অগ্রসর হইয়াছি। মনে কোনই বিরুদ্ধভাব নাই ; পরিবারগণকে নিকটে পাঠাইলেই প্রত্যাগমন করিব। ভরসা করি, আমায় এ ভাবে আর বেশীদূর অগ্রসর হইতে হইবে না, ইত্যাদি’ (২) । এখনও দুর্বলচেতা সরফরাজ কৰ্ত্তব্য স্থির করিয়া উঠতে পারলেন না। বন্ধুবর্গের মধ্যে অনেকেই হাজি প্রভৃতিকে কারারুদ্ধ করিবার পরামর্শ দিলেন। হাজি শপথ করিয়া বলিলেন, ‘প্রভুপুত্রের প্রতি আলিবর্দী খাঁর অন্তরূপ ভাব হইতেই পারে না। আমাকে আলিবর্দীর নিকটে পাঠাইলে আমি তাহাকে ফিরাইয়া লইয়া যাইব বা আজ্ঞা করিলে নিকটে আনিয়া উপস্থিত করিয়া দিব। - পরিশেষে সেনাপতি ঘোঁস ধার কথামত বৃদ্ধ হাজিকে যাইতে দেওয়াই স্থির হইল ; তৎসঙ্গে প্রকৃত মনোভাব অবগত হইবার নিমিত্ত দুই জন বিশ্বস্ত লোকও প্রেরিত হইল। কথিত আছে, শপথ রক্ষার নিমিত্ত হাজি আলিবন্দীকে কয়েক পদ ফিরাইয়া লইয়াছিলেন । হাজি মহম্মদকে বিদায় দিয়া নানা তর্কবিতর্কের পর, যুদ্ধসজ্জায় অগ্রসর হওয়াই কৰ্ত্তব্য স্থির হইল। চারি সহস্ৰ অশ্বারোহী সৈন্য সহ স্বয়ং সরফরাজ, বহির্গত হইলেন ; অন্যান্ত সেনাপতির অধীনে অবশিষ্ট সৈন্যদলও চলিল । তৃতীয় দিবসে সৈন্যদল খামরায় গিয়া উপস্থিত হইল (৩) চতুর্থ দিনে প্রেরিত লোকদ্বয় আলিবর্দীর নিকট হইতে প্রত্যাবর্তন করিলেন। আলিবর্দী খ লিখিয়া পাঠাইলেন, “আপনার পিতার অনুগ্রহে আমি উচ্চপদ ও সম্মান প্রাপ্ত হইয়াছি, এই আমার গৌরব। কখনও আপনার প্রতি অন্যায়ীচরণ করি নাই এবং করিব না। বিহারে স্বজা খার নিয়োজিত যে সৈন্তদল ছিল, তাহার SS S BBBBBBS BBBBB BB BBS BBB BBBBB BBBBB BBBBB BBBB BB BBBB BB BBB BBBBB BB BB BBBBB BBB B BDDDD DDS চাদের কৌশলে নবাব আলিবাদী এ যাত্রা রক্ষা পান । (২) তারিখ ইউসুফী। (৩) তারিখ বাঙ্গাল ।