পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|| ইংরেজ কোম্পানীর বাণিজ্য । `సి ত্ৰিশ হাজার টাকা চাহিয়াছেন। ইংরেজের তুচ্ছ উপহার কোথায় পড়িয়া থাকিল ! এখন বিশ হাজারেও মন উঠে না। অনেক পরামর্শ ও যুক্তিতর্কের পরে উকীলকে লেখা হইল, “যদি পনের হাজারে কার্য্যোদ্ধার হয়, করিবেন। ইহাতে পাটনা অঞ্চলের ব্যবসায়ের কথাটাও উল্লেখ থাকিলে ভাল হয় ? রাজারাম কলিকাতায় ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, বিশ হাজারের কমে দেওয়ান সম্মত নহেন । দেওয়ানের সনন্দ না পাইলে মুর্শিদাবাদ টাকশালে মুদ্র প্রস্তুত করান চলে না ; কাশিমবাজারের কুঠীও বন্ধ রাখিতে হয় ; অগত্যা ঐ টাকা দেওয়াই পরামর্শ স্থির হইল । ১৭০৫ খৃষ্টাব্দের মক্টোবর মাসে উকীল হুগলীতে পহুছিয়া জানিতে পারিলেন, ৩০ হাজার টাকার কমে কাৰ্য্যসিদ্ধি হইবে না। সোরার নৌকাগুলি আবদ্ধ থাকিলে সম্পূর্ণ ক্ষতি, অতএব টাকা দিয়া সনন্দলাভের চেষ্টাই ভাল,—এই ভাবে পরামর্শ চলিতে লাগিল । ১৭০৬—এপ্রেল মাসে মুর্শিদাবাদে দেওয়ান কুলী খাকে বিনীতভাবে পত্র দেওয়া হইল,—”আপনার অনুগ্রহে উৎসাহিত হইয়া, বিলাত হইতে মাল-পত্ৰ আসিয়া পহুছিলেই আমরা কাশিমবাজারের কুঠ চালাইতে ইচ্ছা করি ; আপাততঃ লোক জন পাঠাইয়া কুষ্ঠা মেরামত চলুক।” মে মাসে কুঠা মেরামত জন্ত লোকও গেল। বাঙ্গলার সায়ের মহলের (শুস্কবিভাগের দারোগী কলিকাতার উপনীত হইলে, প্রদাদার্থ দুই শত টাকা মূল্যের ইউরোপীয় দ্রব্যজাত উপহার প্রদত্ত হইল। ১৭০৭ জানুয়ারী মাসে মুর্শিদাবাদ হইতে দেওয়ানের কয়েক জন রক্ষী আনাইয়া তাহাদের সঙ্গে কুঠিয়াল বাজেন সাহেবকে কাশিমবাজারে কুঠ খুলিবার জন্য প্রেরণ করা হইল। পচিশ হাজার টাকা দিয়া সনদ লইবার উপদেশ দেওয়া থাকিল। সমস্ত কাৰ্য্য প্রায় স্থিরতর হইয়াছে, এমন সময়ে সংবাদ আদিল, আরঙ্গজেব দেহত্যাগ করিয়াছেন। বাদশাহের মৃত্যু সংবাদে চারিদিকে হুলস্থল পড়িয়া গেল। কলিকাতার ইংরেজ অধ্যক্ষ কাশিমবাজারে সংবাদ পাঠাইলেন,"জিনিসপত্র গুছাইয়া সম্বর কলিকাতায় আসিয়া পড়ন, দেওয়ানের সনন্দলাভের জন্ত মজুদ টাকা কদাচ:হস্তান্তর না হয় ।” বুদ্ধ বাদশাহের লোকান্তরের পর সিংহাসন লইয়া টানাটানি পড়িবে ; বিপ্লৰে বাণিজ্যব্যাপারের সমূহ ক্ষতি ; স্থানীয় নবাব, কৰ্ম্মচারী বা জমিদার সুবিধা পাইলেই অত্যাচার করিতে কুষ্ঠিত হইবেন না, কোম্পানীর লোকের এ সমস্ত কথা বেশ বুঝিতেন। এই জন্ত অবিলম্বে চতুর্দিকে সংবাদ প্রেরিত