পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○○ বাঙ্গলার ইতিহাস । :* वः । বুরুজ নিৰ্ম্মাণ চলিতেছিল। জৰ্ম্মান-সম্রাটের আদেশ প্রচারের পরেও এই দেশীয় দুই এক জন অন্ত মহাজন গোপনে জাহাজ পাঠাইয়া ভারত হইতে দ্রব্যাদি রপ্তানি করিত। বাকীবাজারের কুঠীর সুদক্ষ অধ্যক্ষ এইরূপ বণিকৃগণের মালপত্র সরবরাহ করিতেন । ইংরেজ ও ওলন্দাজগণ একযোগে ইহাদের উচ্ছেদকল্পনায় কয়েকখানি যুদ্ধজাহাজ নিযুক্ত করিলেন। ভাগীরথীমুখে এক খানি ক্ষুদ্র জৰ্ম্মান জাহাজ অধিকার করা হইল ; অপর একখানি বাকীবাজারের কুঠীর পাশ্বে আশ্রয় লইলে, নবাবের ভয়ে বণিক-কোম্পানীর লোকেরা আর অগ্রসর হইলেন না। আসানউল্লা খার পরে পীর গা কালোয়াং হুগলীর ফৌজদার নিয়োজিত হইলেন। ইনি সুজার প্রিয়পাত্র বলিয়া, (১) এই পদ ও সুজা কুলী খ উপাধি পান। ইংরেজ ও ওলন্দাজগণ এক্ষণে জৰ্ম্মান কোম্পানীর বিরুদ্ধে নবাবকে উত্তেজিত করিবার জন্য উৎকোচ প্রয়োগে উপযুক্ত ফৌজদার মহাশয়কে বশীভূত করিলেন। ফৌজদার বিলাতী মুদ্রার মোহনমায়ায় আবদ্ধ হইয়া, নবাবের নিকটে অষ্টেণ্ড-কোম্পানীর দুর্গনিৰ্ম্মাণ প্রভৃতির এক অতিরঞ্জিত বর্ণনাপত্র দাখিল করিলেন । রাজকীয় প্রধান বন্দরের এত নিকটে । এক সুদৃঢ় ইউরোপীয়তুর্গ, বড়ই সৰ্ব্বনাশের কথা ! নবাব দুর্গাদি ভাঙ্গিয়া দিবার আদেশ পাঠাইলেন ( ১৭৩৩ খৃঃ )। ফৌজদার ও অষ্টেগু-কোম্পানীর কৰ্ম্মকৰ্ত্তার মধ্যে এক্ষণে তুমুল বিবাদ বাধিল । নায়েব-ফৌজদার মীরজাফরের অধীনে স্থলপথের দিক হইতে আক্রমণের জন্য এক দল সৈন্ত প্রেরিত হইল । সহজে দুর্গ অধিকার অসম্ভব ভাবিয়া, মীরজাফর কুঠার সম্মুখে গড়বন্দী করিয়া সৈন্তনিবেশ করিলেন ; এদিকে জৰ্ম্মানগণও নদীবক্ষে নৌকা যাতায়াত বন্ধ করিয়া দিলেন। ফরাসীরা উভয়পক্ষের মধ্যে সন্ধি করিয়া দিবার উদ্যোগের ভাণ করিয়া, গোলা বারুদ্র প্রভৃতির সাহায্যদানে অষ্টেগু-কোম্পানীর অধ্যক্ষকে উৎসাহিত করিতে লাগিলেন। দুই চারি দিন সন্ধির বৃথা চেষ্টার পরে, তুই দিক্ হইতে কুঠী আক্রমণ করা হইল ; খাদ্যাভাবে দেশীয় লোক কুঠী ছাড়িয়া পলায়ন করিতে লাগিল। অধ্যক্ষ ও তাহার স্বদেশবাসী ত্রয়োদশ জন সহকারী কয়েক দিন সুকৌশলে কামান চালাইয়া যথাসাধ্য আত্মরক্ষা করিলেন ; দুর্ভাগ্যক্রমে অধ্যক্ষের দক্ষিণ হস্তে এক গোলা লাগিল। নিশাযোগে নৌকায় SDBBBS BBBB BBBB BBBS BB BB BBB BBBBB BBB লেবায় নিয়োজিত করিতেন ।