পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இத் পঞ্চসহস্ত্রের প্রত্যাবর্তন । >86. অনভিজ্ঞ ; শত্রুদিগের অতর্কিত আক্রমণে ও প্রত্যাবর্তনে তাহার। চকিত হইতে লাগিল। নবাব স্থির করিলেন, একদিন সমগ্র বল একত্র করিয়া শত্রুদিগকে আক্রমণ করিবেন । তদনুসারে সৈন্তশ্রেণীর মধ্যে ভারবাহী ও ভূতাবর্গের প্রবেশ নিষিদ্ধ হইল। প্রত্যুষে নবাব আলিবর্দী খাঁ স্বয়ং অশ্বরোহণে লৈ দ্য চালনা করিতে আরম্ভ করিলেন । কিন্তু শিবিরের অনুচরবর্গ বিপক্ষভয়ে ভীত হইয়া নবাবের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়া চতুর্দিকে সেনাদলের মধ্যে আশ্রয় লইতে লাগিল। সেনাদল এই অকৰ্ম্মণ্য জনতায় জড়া ভূত হইয়। পড়িল। মহারাষ্ট্রীয় সৈন্যদল এই অবসরের প্রতীক্ষা করিতেছিল। মুহুৰ্ত্তমধ্যে তাহারা পঙ্গপালের ন্যায় চারিদিক হইতে নবাবের সেনাদলকে আক্রমণ করিল। নবাবী সেনাগণ অতুলবিক্রমে যুদ্ধ করিতে লাগিল ; অনেকে হত হইল ; আরও অনেকে আহত হইল। কিন্তু শৃঙ্খলার সহিত সৈন্তসমাবেশের অস্তুবিধায় চারিদিকে বিষম বিভ্রাট উপস্থিত হইল। এই সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রের একাংশে মহারাষ্ট্রীয়গণ নবাব-বেগমের হস্তীর চারিদিক বেষ্টন করিল। বেগমের শক্ৰগণ কর্তৃক বন্দীভূত হওয়া অবশ্যম্ভাবী হইয়া পড়িতেছিল, এমন সময়ে মুসাহেব, খ নামক নবাবের সুদক্ষ সেনানী সদলে অগ্রসর হইয়। প্রাণপাত করিয়া বেগমকে রক্ষা করিলেন । ( ১ ) আলিবর্দী খাঁ লক্ষ্য করিলেন, মুস্তাফা প্রভৃতি আফগান সেনাপতিগণ রীতিমত যুদ্ধ করিতেছেন না। শিবিরের দ্রব্যসম্ভার সকলই বিপক্ষহস্তগত । এ দিকে দিবা অবসানপ্রায় ; আর অগ্রসর হওয়া বা বদ্ধমানে রাণীর দিঘীর নিকটে পূৰ্ব্বশিবিরে প্রত্যাবর্তন করা উভয়ই অসম্ভব। সুতরাং নবাব যে স্থানে ছিলেন, সেই স্থানেই শিবির সন্নিবেশ করিতে বাধ্য হইলেন। একটি ক্ষুদ্রায়তন তাম্বু ও তিন চারি খানি শিবিক ব্যতীত বাঙ্গালী বিহার উড়িষ্যার নবাবের নিশাষাপনের অন্ত কোন আশ্রয় মিলিল না । নবাব মারাঠাগণকে দশ লক্ষ টাকা দিবার প্রস্তাব করিয়া পাঠাইলেন, কিন্তু ভাস্কর পণ্ডিত সুবিধা পাইয় এক কোটি টাকা হাকিয়া বসিলেন। সন্ধ্যা সমাগত হইলে নবাবের সেনাদলের অনেক লোক বিপক্ষদলে যোগ দিতে আরম্ভ করিল। এ দিকে ংবাদ:রাষ্ট্র হইল যে, মারাঠাগণ আশ্রয় প্রাথিমাত্রকেই আশ্রয়দান করবে। এই সময়ে নবাব আর এক উপায় স্থির করিলেন। সেই তিমিরাবগুষ্ঠিত রজনীর স্বচীভেদ্য অন্ধকারে প্রাণপ্রিয় বালক সিরাজুদ্দৌলার হস্তধারণ করিয়া ( ১ ) তারিখ-বাঙ্গালা । הל