পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৬৮

>8と বাঙ্গালার ইতিহাস । ৬ষ্ঠ অঃ। তিনি মুস্তাফা খাঁর শিবিরে উপনীত হইলেন। সহসা স্বপ্তোথিত সেনাপতি ত্রস্তভাৰে স্বাগতসম্ভাষণ করিলে নবাব বলিলেন, “বন্ধো! আমার পূর্বকত ছই একটি কার্য্যের জন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া আমার বিনাশের জন্ত তোমার পরোক্ষ উপায় অবলম্বনের প্রয়োজন কি ? আমি প্রিয়তম সিরাজকে লইয়া তোমার নিকট উপস্থিত হইয়াছি। যদি ইচ্ছা হয়, এক আঘাতে আমাদের উভয়কেই সংহার কর। আর যদি পূৰ্ব্বকৃত উপকারের জন্ত কৃতজ্ঞতা ও দীর্ঘকালের বন্ধুত্বজনিত স্নেহ তোমার হৃদয়ে তিল মাত্র স্থান পাইয়া থাকে, তবে সামান্য ক্রটি মার্জনা করিয়া রণক্ষেত্রে আমার পাশ্বে দণ্ডায়মান হও । তোমার সাহায্য পাইলে আমি দুরন্ত বগীদলকে দমন করিবার উপযুক্ত ব্যবস্থা-চিন্তার অবসর পাই । বিপক্ষহস্তে আত্মসমৰ্পণ অপেক্ষা অন্য সকল কাৰ্য্যই আমার করণীয় ’(১) মুস্তাফা অন্যান্য আফগান সেনাপতিগণের সহিত পরামর্শ করিয়া প্রভুর কার্য্যে প্রাণ পৰ্য্যন্ত দান করিবেন, অঙ্গীকার করিলেন । তিনি বলিলেন, *প্রবাদ আছে, চল্লিশ তরবারি (তরবারি-ধারী) একমত হইলে রাজ্য প্রদান করিতে পারে। আমরা এখনও তিন সহস্ত্রের অধিক অশ্বারোহী বর্তমান । আল্লার ইচ্ছায় আমরা এখনও কাফেরগণকে সমুচিত শিক্ষা দিতে সম্পূর্ণ সক্ষম।” নবাব তখন সদলে বিপক্ষসৈন্য ভেদ করিয়া মুর্শিদাবাদের দিকে অগ্রসর হওয়াই কৰ্ত্তব্য স্থির করিলেন। তাহার অভিপ্রায়, কিয়ংকাল "আর্ল পক্ষ শুদ্ধ করিয়া সৈন্যাদিসংগ্রহের পর, বগীগণকে আক্রমণ করিবেন। এই দিন রাত্রিকালে মহারাষ্ট্ৰীয়গণ সুযোগ পাইয়া নবাব-সৈন্যদিগকে সবিশেষ উত্যক্ত করিতে লাগিল। একটি লুষ্ঠিত বৃহৎ কামান নিকটস্থ বুক্ষে সংলগ্ন করিয়া তাহারা নবাব-শিবিরে অগ্নিবৃষ্টি করিতে লাগিল। সমস্ত রাত্রি শিবিরে আহতদিগের করুণ আৰ্ত্তনাদ শ্রত হইতে লাগিল । বৰ্দ্ধমানরাজের দেওয়ান মাণিক চাদ ভয়ে বিহবল হইয়া প্রত্যুষেই সদলে প্রভূসকাশে পলায়নপর হইলেন। নিশাকালে গভীর অন্ধকারে নবাবসৈন্ত চারি দিক্ হইতে আক্রান্ত হইল। বর্গীগণ কোন কোন স্থানে সৈন্তশ্রেণী ভেদ BBB BBBB BBBB BBB BBBSS BSBBB BBBB BBBB BBB S0S BBBBB BBBBB BB BBB BBB BB BBBBB BBBB BB BBB DDS BBB BBBB BBB BBBBBB BBB BBBBB S BBBBS BBB BB মালভঞ্জনের কথা বলেন নাই ।