পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ অ । পঞ্চসহস্ত্রের প্রত্যাবর্তন । >8a যুদ্ধ করিতে লাগিল। অবশেষে মারাঠারা নিরুৎসাহ হইয়া পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিল। চেীদ দিন পরে এখন নবাব নিশ্বাস ফেলিবার অবকাশ পাইলেন। উষাকালে নবাবের আদশে সেনাগণ বিপক্ষশিবির ভেদ করিয়া কাটোস্কার অভিমুখে অগ্রসর হইল। মারাঠাদল পশ্চাতে থাকিয় তাহাদিগকে উত্যক্ত BBBB BBBB BBBB BBBBB BBBB BBBB BBB BBBBBBBS আহাৰ্য্যশূন্ত, বস্ত্রাদিবিরহিত ক্ষুধাৰ্ত্ত দুই তিন সহস্র সৈন্ত, আহারাভাবে দুৰ্ব্বলতর ক্লান্ত অশ্বে আরোহণ করিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে লাগিল । তাহদের সঙ্গে ভূত, ভারবাহী প্রভৃতিতে সৰ্ব্বসমেত প্রায় পাচ সহস্ৰ লোক পদব্ৰজে যাইতে লাগিল। এ দিকে মহারাষ্ট্ৰদল পিঙ্গপালের মত চারি দিক্‌ আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল। তাহদের অশ্বগুলি কষ্টসহ ও ক্ষি প্রগ্রাম ; কাজেই তাহাদের পক্ষে অতর্কিত আক্রমণ ও সহসা প্রত্যাবৰ্ত্তন উভয়ই সহজসাধ্য। বৰ্দ্ধমান হইতে কাটোয়া সপ্তদশ ক্রোশ। সমস্ত পথ যুদ্ধ করিতে করিতে, অবরোধকারিগণের অন্তহীন আক্রমণ প্রতিহত করিতে করিতে, ক্ষুধায় দুৰ্বল নবাবী সৈন্যদল দৃঢ়পদে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে লাগিল। এত বিপদেও সৈন্তগণ কিছুমাত্র বিচলিত হইল না ; নেতার অতুল উৎসাহে ও সেনাপতিগণের ছৰ্দ্দম বিক্রমে প্রোৎসাহিত হইয়া তাহারা সমস্ত পথ অমিততেজে বিপক্ষসৈন্তের সহিত যুদ্ধ করিতে করিতে অগ্রসর হইতে লাগিল। তাহাদের বিক্রম দর্শনে মারাঠাগণের মনে ক্রমশঃ ভীতির সঞ্চার হইতে আরম্ভ হইল । পূৰ্ব্বদিন প্রাতঃকাল হইতে সৈন্তগণের একেবারেই আহার হয় নাই। আহাৰ্য্য দ্রব্যসামগ্ৰী সকলই শক্ৰহস্তগত ; পথের উভয়পাশ্বে ও চতুর্দিকে পঞ্চক্রোশব্যাপী স্থানের ( ) নিরীহ প্রজারুণ বগীর ভয়ে গৃহত্যাগ করিয়াছে, কোনও দিক হইতে খাদ্যপ্রাপ্তির অাশা নাই। এ দিকে সমাগত বর্ষার বারিধারা ও দুৰ্ব্বার জঠরানল দুৰ্দ্দম বৰ্গসৈন্যদলের সহিত যোগ দিয়া বঙ্গীয় সৈন্তদিগকে বিষম পীড়িত করিয়া তুলিতে লাগিল। সৌভাগ্যক্রমে বৰ্দ্ধমানের প্রশস্তপথের পাশ্বদেশে প্রাচীন হিন্দুপ্রথার ও ধৰ্ম্মের ব্যবস্থানুসারে বহু প্রকাও প্রকাও দাৰ্ষিক বৰ্ত্তমান। ঐ সকল পুষ্করিণীর উচ্চ পাহাড়ের উপর উন্নত S BBBBBBB BBBS BBBB BB BB BB BBB BBB BBB BBBBBB ভস্মীভূত করিয়া দ্রব্যাদি লুণ্ঠন করিয়া লইয়া গিয়াছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত মহারাষ্ট্র পুরাণও ইহাই সমর্থন করিতেছে। (সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা-১৩১৩)।