পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - পঞ্চসহজের প্রত্যাবৰ্ত্তন | >8。 BBBB BBB BBBBBS BBBB BBBB BBBB SBBB BBBBBB অবস্থা কল্পনায় আনা যাইতে পারে, তাহ বর্ণনায় নহে। একদিন সেনাপতি মুস্তাফা খা দেখিতে পাইলেন, সম্মুখে একদল DDBBBB BBB BBBB BBB BBBB BBBB BBBBBB BBBBS তাহারা স্বপ্নেও ভাবে নাই যে, অনাহারক্লিষ্ট নবাবী-সৈন্যগণ সাহস করিয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করবে। সেনাপতির উৎসাহবাক্যে সৈন্তগণ নিস্কোষিত অসিহস্তে সবেগে তাহাদিগকে আক্রমণ করিল। সেই ক্ষুধিত শাৰ্দ্দলোপমেয় সেনাদলকে দেখিয়া অৰ্দ্ধপক্ক ভোজ্য ও সংগৃহীত শস্যাদি ত্যাগকরিয়া, মহারাষ্ট্রীয় গণ পলায়নপর হইল। নবাবী সৈন্তদিগের সে দল সে দিন সেই ত্যক্ত ভোজ্য ভোজন করিয়া কথঞ্চিৎ সবল হইল । অতঃপর বর্গীগণ সাবধান হইল। নবাবসৈন্ত কায়ক্লেশে অগ্রসর হইতে লাগিল। তৃতীয়দিন প্রত্যুষে মারাঠাগণ সহসা চতুৰ্দিক্ হইতে সবেগে আক্রমণ করিল। বঙ্গীয় সেনাগণ যুদ্ধার্থ প্রস্তুত হইবার পূর্বেই-নবাব হস্তিপৃষ্ঠে আরোহণ করিতে না করিতে তাহারা বিষম তেজে যুদ্ধারম্ভ করিল। সৈন্তগণের পক্ষে পরস্পরের সহিত যোগ দিয়া একত্র নিয়মমত যুদ্ধ করা অসম্ভব হইল,—যে যেখানে ছিল, সে সেখানেই আত্মরক্ষা করিতে লাগিল। এই সময়ে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নবাব আলিবর্দী খাঁ রক্ষা পাইলেন। নবাবের হস্তীর সম্মুখে পতাকা ও সাজসজ্জা বহনের জন্ত দুইটি সুসজ্জিত হস্তী থাকিত। তাহাদের প্রত্যেকের দন্তে এক একটি বৃহৎ শৃঙ্খল আবদ্ধ থাকিত। গমনকালে ঐ শৃঙ্খলের শব্দে তাহারা সানন্দে নবাবের হস্তীর অগ্রে অগ্ৰে ঘাইত । বগীগণ আক্রমণ করিলে, দুইটি হস্তী চতুর্দিকে অপরিচিত জনতা দেখিয়া ক্রুদ্ধ হইয়া সবেগে সেই শৃঙ্খল যুৱাইতে লাগিল । সেই শৃঙ্খলচালনার ফলে বিষম আঘাত পাইরা বহু বৰ্গদেন ভূপতিত হইল। নবাবের সেনাগণ চতুর্দিকে অগ্রসর হইবার অবকাশ পাইল ; তাহারা সমবেত হইয়া যুদ্ধ আরম্ভ করিলে মারাঠাগণ পৃষ্ঠ প্রদর্শনকার্য্যে কালবিলম্ব করিল না। এইরূপে, দারুণ দুর্দশায় বহুবিধ বিস্ত্র অতিক্রম করিয়া নবাবের সৈন্তগণ তিন দিনে কাটোরায় পছছিল। পৰ্ব্বতের শিরোদেশ হইতে দূরে বারিবিস্তার দেখিয়া “দশসহস্র” গ্রীক বীরের গৃহাভিমুখগামী জীর্ণ শীর্ণ অবশিষ্ট কয় সহস্ৰ সৈন্ত যে আনন্দে উৎফুল্লচিত্তে “ঐ সমুদ্র । ঐ সমুদ্র ? বলিয়া আনন্দাশ্রবিপ্লতনেত্রে পরম্পরকে আলিঙ্গন করিয়াছিল, সেই আনন্দে নবাবের সৈন্যগণ