পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ஆத বগার হাঙ্গামা। >Q○ নিয়নিত সৈন্তদলে আরও কতকগুলি লঙ্কর যোগ দেওয়া হইল। এতদ্ব্যতীত দুর্গসংস্কার ও কামান, বন্দুক প্রভৃতি উপকরণ সংগ্রহেও অর্থব্যয় কর হইয়াছিল। কোম্পানীর ডিরেক্টরগণ বায়ের প্রতি কিছু লক্ষ্য রাখিতে উপদেশ দিয়া অগত্য এই কার্য্যে সম্মতি জ্ঞাপন করিলেন। কোম্পানীর পশ্চিমবঙ্গের দুই একটি কুঠি লুষ্ঠিত হইয়াছিল ; ভাগীরথীবক্ষে দুই চারিখানি মালের নৌকাও আবদ্ধ ছিল ; কিন্তু কোম্পানীর ক্ষতি বড় অধিক হয় নাই। পক্ষান্তরে, নানা প্রকারের ব্যবসায়ী ও অন্য অধিবাসিগণের আগমনে কলিকাতার ইংরেজ-কোম্পানী বিশেষ লাভবানই হইয়াছিলেন । বর্ষাকালের মধ্যেই আলিবর্দী খা যথেষ্ট সৈন্তসংগ্ৰহ করিলেন। সৈন্যদলের মধ্যে বৰ্দ্ধমানে প্রতিশ্রুত দশলক্ষ টাকা পুরস্কারবিতরণ ও যথাযোগ্য পদোন্নতি বিধান করিয়া সকলের মনোরঞ্জন করাও হইল। বিহার হইতে কনিষ্ঠ জামাতা জইন্‌উদ্দীন সসৈন্তে যোগ দিলেন ; অধিকন্তু বাদশাহের নিকট সাহায্যার্থে আবেদন করা হইল। কথিত আছে, এই সময়েই দিল্লীদরবার হইতে মুরীদ খা রাজকর গ্রহণের জন্য বিহার পর্য্যন্ত আগমন করেন ; কিন্তু ব্যাপার গুরুতর বুঝিয়া সেখান হইতেই প্রতিনিবৃত্ত হন। বর্ষপগমের সঙ্গে সঙ্গেই নবাব সসৈন্তে রাজধানী হইতে কাটোয়ার দিকে অগ্রসর হইলেন। তখন পথের কর্দম একবারে শুষ্ক হয় নাই ; নদনদী জলপূর্ণ। বর্গীগণ দেশের সর্বত্র রাজস্ব (?) আদায় করিয়া বেড়াইতেছে ; ভাস্কররাম দাইহাটে দুর্গোৎসবের আয়োজন করিয়াছেন। নিশাযোগে নৌ-সেতু নিৰ্ম্মাণ করাইয়া নবাব সৈন্ত কাটোয়ার উত্তরাংশে গঙ্গাপার হইল। কিয়দংশ সৈন্ত পার হইয়া গিয়াছে, এমন সময়ে জনতার চাপে মধ্যভাগের দুই এক খানি নৌক৷ ভাঙ্গিয় জলমগ্ন হইল ; অনেকে কালগ্রাসে পতিত হইল (১)। ক্ষিপ্ৰহস্তে সেতুসংস্কার করাইয়া অগ্রগামী সৈন্তদল পরপারে উত্তীর্ণ হইল। প্রভাত হয় হয়, তখনও দুই তিন সহস্ত্রের অধিক লোক পার হয় নাই। অগ্রগামী সেনানায়ক মুস্তাফা, মীরজাফর প্রভৃতি বীরগণ বিপক্ষদলকে আপনাদের সংখ্যা বুঝিতে না দিয়া, সত্বর আক্রমণ করাই পরামর্শ স্থির করিলেন। তাহারা সবেগে ( ) মিঃ হলওয়েল বলেন মহারাষ্ট্রীয় পক্ষ হইতেই পরপর আক্ৰমণ জন্ত কাটোয়ায় এই নৌসেতু নিৰ্ম্মিত হয়। মহারাষ্ট্র পুরাণে দৃষ্ট হয় বর্গীয় সেতু দুইহাটে ছিল। উত্তরসাধক