পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्षं यः । আফগান বিভ্ৰাট । >と(r এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সংবাদে নবাব আলিবর্দী খাঁ মৰ্ম্মাহত হইলেন। রাষ্ট্রবিন্নবে সমগ্র দেশ বিপৰ্য্যস্ত ; বিহার শত্রকরতলগত, মহারাষ্ট্ৰীয়গণও বৰ্দ্ধমান পৰ্য্যন্ত অগ্রসর হইয়াছে। চতুর্দিকে বিপজালে জড়িত হইয়াও, নবাব নিজ অভ্যস্ত প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও মনস্বিত হারাইলেন না। এই বৃদ্ধ বয়সেও দ্বিগুণ মানসিক বলের সহিত কার্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। প্রধান সেনানায়ক ও কৰ্ম্মচারিগণকে মন্ত্রণাগারে আহবান করিলেন, এবং উপস্থিত বিপদে কৰ্ত্তব্য অবধারণ জন্ত সকলের পরামর্শ চাহিলেন । নবাব বলিলেন, আমার প্রাণসম জামাতা ও সহোদর বিশ্বাসঘাতক বিদ্রোহীহস্তে নিহত, দুহিতা ও পরি বারবর্গ বন্দীভূত, অবমানিত ; জীবন আমার পক্ষে এক্ষণে দুৰ্ব্বহ ভার-মাত্র। আপনার আমার প্রিয় মুহৃং, যুদ্ধক্ষেত্রে সুখে দুঃখে সহচর, সকলেরই পরামর্শ জিজ্ঞাসা করি । সভাস্থগণ নবারের করুণ বিলাপে ব্যথিত হইয় একবাক্যে উত্তর করিলেন, আমরা আপনার ভৃত্য, আমাদের বাহ কিছু আপনারই অনুগ্রহে, আমরা প্রাণপণে আজ্ঞাপালনে প্রস্তুত আছি । নবাব কিয়ৎক্ষণ স্থির হইয়া কহিলেন, “এক্ষণে প্রতিহিংসাসাধন ভিন্ন জীবিত থাকা অসম্ভব, অতএব বিদ্রোহীগণের সমুচিত শাস্তি প্রদানই সঙ্কল্প করিয়াছি। এ সময়ে যাহারা আমার সহিত অগ্রসর হইতে প্রস্তুত, তাহাদিগকে আমার আদেয় কিছুই থাকিবে না। উভয় পক্ষই পরস্পরের জন্ত প্রাণ পৰ্য্যন্ত দিতে প্রতিশ্রুত থাকিব । কিন্তু যাহার কৰ্ম্মত্যাগ করিবার অভিলাষ করেন, তাহাদিগকেও ধরিয়া রাখিতে চাহি না ; তাহদের নিকট পূর্বেই যে আশাতীত সাহায্যলাভ করিয়াছি, তাহারই প্রতিদান আমার পক্ষে অসম্ভব। যখন এরূপ অবমানিত দুঃসহ জীবনভার ত্যাগ করিবার বাসনা করিয়াছি, তখন অল্প-সংখ্যক সহযাত্রী হইলেও আমার উদেন্ত সফল হইবে।” পুনরায় সামন্তবর্গ একবাক্যে বললেন, নবাবের নিকটে তাহারা প্রাণের সহিত কৃতজ্ঞ, সকলেই তাহার কার্য্যে জীবন উৎসর্গ করিতে প্রস্তুত আছেন। তখন কোরাণ লইয়া সকলেই শপথ করিলেন ; যুদ্ধসজ্জার আয়োজন আরব্ধ হইল ( ) নবাব এইরূপে কৰ্ম্মচারিবর্গের বিশ্বস্তভাবে আশ্বস্ত হইয়া সৈন্ত্যগণের বাকী বেতন পরিশোধ করিবার ব্যবস্থা করিলেন। এ কার্য বড় সহজ হইল না o ( ১ ) মুতাক্ষরণ হলওয়েল প্রভৃতির নির্দেশমতে ইউরোপীয় কোম্পানিদিগকেও এই সময়ে অর্থদান করিতে হইয়াছিল।