পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৮৯

৬ষ্ঠ জঃ। বগীর হাঙ্গামা । >と守 নিকটে মারাঠাদিগের সহিত মিলিত হইবার জন্য প্রতীক্ষা করিতেছে। জানজা মীর হৰীবের সহিত আফগান-শিবিরের নিকটবৰ্ত্ত হইলে মন্ত্রণ স্থিরীকৃত হইল, পাঠান সামন্তগণ মহারাষ্ট্রীয়দলপতির অধীনে কাৰ্য্য স্বীকার করিবেন। সমসের খাঁ বিহারের স্থবাদারী ও খেলং প্রাপ্ত হইলেন, এবং লঙ্কা ভাগের অন্তান্ত ব্যবস্থা সমস্তই স্থির হইয়া গেল। কিন্তু চোরে চোরে কুটুম্বিতা কয় দিন স্থির থাকে ? পরদিন মীর হবীব সম্সের খাঁর শিবিরে সাক্ষাৎ করিতে গেলে আফগানগণ সৈন্যসংগ্রহের খরচ আদায়ের প্রতিভূস্বরূপে তাহাকে ধরিয়া রাখার ব্যবস্থা করিল। মীর হবীব দুষ্টবুদ্ধিতে কাহারও অপেক্ষা হীন নহেন ; অনুচরবর্গকে ইঙ্গিত করিলেন, তাহারা যেন কিয়ৎকাল পরে সবেগে পাঠানশিবিরে আসিয়া—“আলিবর্দী আসিয়া পড়িয়াছেন এইরূপ প্রচার করে। অনুচরগণ ঐক্কপ করিলেও, নাছোড়বান্দা সম্সের দুই লক্ষ টাকার ছণ্ডী ন৷ লইয়া তাহাকে ছাড়েন নাই। দুই দলের মনোভঙ্গ নবাবের সৌভাগ্য বলিতে হইবে। মহারাষ্ট্রীয়গণ এক্ষণে উভয় দলের মধ্যে সুবিধামত লুণ্ঠনের মন্তব্য অশটিল। নবাব আলিবর্দী খাঁ পর দিন যুদ্ধার্থ অগ্রসর হইলেন। প্রত্যুষে যুদ্ধারম্ভ হইল , নবাবের চিরসহচর সৌভাগ্য এ ক্ষেত্রেও তাহাকে পরিত্যাগ করে নাই । যুদ্ধের প্রারম্ভেই অন্যতম আফগানদলপতি সরদার খাঁ নিহত হইলেন ; প্রায় আৰ্দ্ধাংশ বিদ্রোহী সেনা বিপৰ্য্যস্ত হইয়া পড়িল, এবং সম্সেরের দলেও এই সংবাদে ভীতির সঞ্চার হইল। এই সময়ে পশ্চাতে বগীদল পঙ্গপালের ন্যায় দেখা দিল ; তাহাদের উদেশু, যুদ্ধের অবসরে নবাবশিবির লুণ্ঠন করবে। বালক সিরাজুদ্দৌলা ‘মহারাষ্ট্ৰীয়গণের বিরুদ্ধেও এক দল সৈন্য প্রেরণ করলে ভাল হয়, এইরূপ উক্তি করিলে নবাব উত্তর দিলেন, প্রথমে সম্মুখের আফগান দল বিধ্বস্ত করিয়া সহজেই বর্গীতাড়নে সমর্থ হইব। প্রকৃত পক্ষে, নবাবের আদেশেই তাহার সৈন্যদল নিজ নিজ দ্রব্যসামগ্ৰী তাম্বুতে ফেলিয়া গিয়াছিল। ( ১ ) বর্গর দল লুণ্ঠনেই ব্যাপৃত রহিল, নবাবের উদ্দেশু সহজেই সিদ্ধ হইল । জন্তঃপর আলিবর্দী খার প্রচণ্ড আক্রমণে পাঠানগণ ত্রস্ত হইল ; প্রকাও নবাৰী-তোপের মুখে তাহারা স্থির থাকিতে পারিল না। এই সময়ে হৰীৰ বেগ, নামক সেনানী অনুচরবর্গপরিত্যক্ত হস্তীপৃষ্ঠে আসীন সম্সেরকে আক্রমণ ও নিহত করিলেন । বিদ্রোহীর ছিন্নমুণ্ড নবাবের পদতলে স্থাপিত হইল ; ( 3 ) Holwell. Int. Hist Events–173.