পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ஆ মহারাষ্ট্ৰীয় সন্ধি । >と。 ইদানীং তাছারা আর সমবেত হইয়া যুদ্ধ দেয় নাই ; সুতরাং তাহদের হস্ত হইতে দেশ উদ্ধারের আর কোনই আশা ছিল না। ক্রমাগত গুরুতর পরিশ্রমে বৃদ্ধ নবাবের স্বাস্থ্যভঙ্গ হইয়া গেল। তিনি ১১৬৪ হিঃ (১৭৫১ খৃ: ) সালে আর একবার উড়িষ্যা পৰ্য্যন্ত মহারাষ্ট্ৰীয়গণের পশ্চাদ্ধাবন করিলেন ; ফল পূৰ্ব্বমতই হইল। অগত্যা ক্ষুদ্রমনে আলিবর্দী খাঁ সন্ধির প্রস্তাব করিলেন। (১) বাঙ্গলার নবাবকে উড়িষ্যার স্বত্ব ত্যাগ করিতে হইল। বাঙ্গলার চেীথ বাৰত বার্ষিক ১২ বার লক্ষ টাকা দিবারও অঙ্গীকার করিলেন। এত দিনে শান্তি স্থাপিত হইল ; নবাব অতিরিক্ত সৈন্তদলকে অবসরপ্রদান করিলেন। বগীর হাঙ্গামায় উৎসন্ন গ্রাম ও নগরে প্রজাবৰ্গকে যথোচিত সাহায্যদানের ব্যবস্থা হইল। পলায়িত প্ৰজাগণের অনেকে বৰ্দ্ধমান অঞ্চলে প্রত্যাবৃত্ত হইল ; অনেকে হাঙ্গামা নিবৃত্তির পরেও স্থায়ীভাবে বাগড়ীপ্রদেশে রহিয়া গেল। যুদ্ধবিগ্রহের ভীষণ কুফল সমস্তই এই মহারাষ্ট্রীয় বিপ্লবে দুর্ভাগ্য বঙ্গদেশে দর্শন দিয়াছিল। পশ্চিম-বঙ্গে সৰ্ব্বত্রই শস্যাদির মূল্য ও লোকের পারিশ্রমিক বদ্ধিত হইল ; লোকে স্বচ্ছন্দে শস্ত্যাদি বপনও করিতে পাইত না। বর্যার সময়ে যাহা কিছু ধান্তাদি রোপিত হইত, তাহাও হস্তগত হইবার আশা থাকিত না। পলায়িতাবশিষ্ট লোকের বিষম অন্নকষ্টও উপস্থিত হইয়াছিল। দেশীয় বাণিজ্যের কথা দূরে থাকুক, ইউরোপীয়গণের এই অঞ্চলের ব্যবসায়ও বন্ধ হইয়াছিল। মুচিরস্থায়ী আতঙ্ক ও অত্যাচারে শ্রমজীবিগণ মস্তক তুলিবার অবসর পাইত না। বর্ষার কয় মাস তন্তুবায়গণ কথঞ্চিৎ নিশ্বাস ফেলিবার অবকাশলাভ করিয়া যে কিছু বস্ত্রাদি প্রস্তুত করিত, তাহাও আশঙ্ক ও ব্যস্ততায় তত উৎকৃষ্ট হইত না । ( ২ ) ইউরোপীয় কোম্পানিদিগের আড়ঙ্গে এই সমস্ত বস্ত্রাদি যথাসম্ভব শীঘ্র শীঘ্র সংগ্ৰহ করিয়া লওৱা হইত। পূৰ্ব্বের মত উৎকৃষ্ট মালপত্র প্রস্তুত হইত না বলিয়া, পারস্ত ও আরবের উপকূলে কোম্পানীর কৰ্ম্মচারিগণের স্বাধীন ব্যবসায়ে যথেষ্ট ক্ষতি হইতেছিল । বস্তুতঃ বগার হাঙ্গামা শেষ হইলেও, বহুকাল ধরিয়া পশ্চিম-বঙ্গের বাণিজ্যব্যাপারে আর সুবিধা হয় নাই । ( ১ ) মুসলমান লেখক বলেন, উভয় পক্ষই এই যুদ্ধব্যাপারে ক্লান্ত হওয়ায় সন্ধির প্রস্তাব হইল । ( R ) Holwell Int. Hist. Events,—151. &

  • R