পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম অঃ। সিরাজুদ্দৌলা । ➢ ጫ > বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সিরাজের উচ্ছঙ্খলতার বৃদ্ধি হইল। নবাব বা বেগমের কোপকষায়িত স্নেহদৃষ্টি আর উদ্ধত যুবককে নিজ কল্পনা হইতে নিবৃত্ত করিতে পারিত না । আলিবর্দী খা যৎকালে পাঠান-বিদ্রোহ দমনের পর বগীদলের পশ্চাৎ পশ্চাত উড়িষ্যায় যাত্রা করেন, সেই সময়ে সিরাজের চাটুকার বন্ধুবৰ্গ ও মেহিদাঁনেসার ( ১ ) প্রভৃতি কয়েক জন স্বার্থপর লোক সিরাজকে বুঝাইয়া দিল, তাহার উপর নবাবের স্নেহ কেবল মৌখিক। বিহারে তাহার পৈতৃক-সিংহাসন তাহার নামে রাখা প্ররোচনামাত্র, প্রকৃত পক্ষে রাজা জানকীরামই নায়েব-নাজিম ; নবাব কাৰ্য্যকালে সিরাজের জন্ত কিছুই করেন না। অস্থির যুবকের মস্তিষ্ক বিকৃত হইল ; বলপূর্বক জানকীরামের হস্ত হইতে রাজদণ্ড কাড়িয়া লইয়া স্বয়ং স্বাধীনভাবে কাৰ্য্য চালাইবেন, স্থির হইল। নিশাযোগে প্রণয়িনী লুৎফুন্নেসা বেগমকে সঙ্গে লইয়া এক দ্রুতগামী গো-যানে আরোহণ করিয়া অনুচরবর্গ সহ পাটনা যাত্রা করিলেন। (২) মেদিনীপুর হইতে সিরাজের পাটনা যাত্রার কথা শুনিয়া বৃদ্ধ মনিষীর মস্তিদ্ধ ঘূর্ণিত হইল ; নবাবের চিন্তা, পাছে সিরাজের কোন অত্যাহিত ঘটে। দ্রুতগতি মুর্শিদাবাদ অভিমুখে যাত্রা করিলেন। রাজধানী পহুছিবার পরদিনই মহিষী সহ পুনরায় পাটনার দিকে চলিলেন । ইতিমধ্যেই স্নেহের পুত্তলকে আদর বাড়াইয়া পত্রে লেখা হইল, তিনিই নবাবের একমাত্র উত্তরাধিকারী, শীঘ্র ফিরিয়া আসিলে নবাব প্রাণ পাইবেন,—অনুনয় বিনয়ও চলিল। উদ্ধত সিরাজ নিৰ্ব্বোধ বন্ধুবর্গের পরামর্শে উত্তর দিলেন, “আপুনি পিতৃব্যগণকে রাজপদ দিয়া সম্মানিত করিয়াছেন, কেবল আমার সময়েই স্তোভবাক্যমাত্র ও কল্পিত আদর । বালকের ন্তায় আর আমি ইহাতে ভুলিব না। নিজের স্থায্য দাবী বলপূর্বক অধিকার করিব ; আপনি বাধা দিবার আয়োজন করিবেন না। আর যদি নিতান্ত বিবাদই উপস্থিত করেন, তবে হয় আপনার মস্তক আমার কক্ষদেশে বা আমার মস্তক আপনার ( ) ইদি মুতাক্ষরীণকার গোলাম হোসেনের মাতুল। (২) সিরাজের পাটনাযাত্রার সংবাদ নগরে প্রচারিত হইলে, নোয়াজিস মহম্মদ, সহচর হোসেনকুলীকে সিরাজকে প্রত্যাবৃত্ত করাইবার জন্য প্রেরণ করেন। তিনি ধরিতে ন পারিয়া প্রত্যাবৃত্ত হন। অনুবাদক মুস্তাফা বলেন, এই প্রকাও নবাবী বলীবর্দ দুইটি BBBBBBSBBBBS BBBB BBB BB BBB BBB BBS BB BBBB বিশ ক্রোশ যাইতে পারিত।