পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ՀՀ বাঙ্গলার ইতিহাস । ম স । পাদদেশে পতিত হইলে ইহার মীমাংসা হইবে’ (১)। অজ্ঞান সিরাজের ক্ৰোধভরে লিখিত লিপি পাঠ করিয়া রোষ প্রকাশ দূরে থাকুক, নবাব আরও নম্রভাবে পুনরায় লিখিলেন, “নিৰ্ব্বোধ, তুমি ভুল বুঝিয়াছ। বিহারের কি, ভারতের রাজপদ দিবার ক্ষমতা থাকিলে তোমাকে তাহাও আমার আদেয় নহে ।” পত্রশেষে পারসী কবির বয়ে উদ্ধৃত করিয়া (২) লেখা হইল, “গাজীরা অর্থাৎ ধৰ্ম্মের জন্ত যুদ্ধ করিয়া যাহারা প্রাণদান করেন, তাহারা জানেন না সংসারসংগ্রামে স্নেহের সহিত যাহারা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেন, তাহারাই শ্রেষ্ঠ বীর। শেষ বিচারের দিনে ইহাদের উভয়ের মধ্যে তুলনাই হয় না ; কারণ, একজন শক্রহস্তে নিহত, অন্তে প্রাণসম বন্ধুহস্তে ।” এ দিকে সিরাজুদ্দৌলা সবান্ধবে পাটনার সম্মুখীন হইয় রাজা জানকীরামকে দুর্গ সমর্পণ করিবার আদেশ পাঠাইলেন ( ১১৬৩ হিঃ, রজব, জুলাই ১৭৫৭ খৃঃ)। জানকীরাম বিষম সমস্তায় পড়িলেন। নবাবের অনুমতি ভিন্ন সিরাজুদ্দৌলাকে এ ভাবে পাটনায় প্রবেশদান অনুচিত ; পক্ষান্তরে, সিরাজের কোনরূপ অত্যাহিত ঘটতে পারে, এ চিন্তায়ও ব্যাকুল হইলেন। অগত্যা কৰ্ত্তব্যজ্ঞানের অনুরোধে নবাবের আদেশপ্রাপ্তি পর্যন্ত দুর্গদ্বার বন্ধ করিয়া থাকাই সঙ্কল্প করিলেন । সিরাজের ক্ষুদ্র দল অবিলম্বে দুর্গ আক্রমণ করিয়া গোলা-গুলি বৃষ্টি আরম্ভ করিল : হর্গমধ্য হইতেও ইহার প্রত্যুত্তর আসিল । মূহুৰ্ত্তমধ্যে মেহিদাঁনেসার খাঁ পঞ্চস্থ পাইলেই সিরাজের যুদ্ধসাধ মিটিল। অন্তান্ত উপযুক্ত সহযোগিগণ পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিল। ভয়ে অভিভূত হইয়া (৩) সপত্নীক সিরাজ তখন দুর্গবহিঃস্থ এক ক্ষুদ্র কুটীরে আশ্রয় লইলেন। জানকীরাম সিরাজের সন্ধানে লোক প্রেরণ করিলেন ; সিরাজ অক্ষত শরীরে আছেন শুনিয়া বৃদ্ধ মন্ত্রীর আনন্দের সীমা রহিল না । দুর্গের বাহিরে উপযুক্ত বাসস্থান নির্দিষ্ট করিয়া দিয়া নবাবের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। আলিবর্দী (১) মুতাক্ষরীণ, প্রথম খণ্ড । ( & ) “গাজী কে পায় সাহাদাৎ অন্দর তা গো পোস্ত । গাফেল কে সাহাদে এশক ফাজেল তার আজ দোস্ত । ফার দায় কেয়ামাত ই বা অ কায়মানাং । ই কোন্ত দুষ,মানাস্ত ওয়া কোস্তায়ে দোস্ত । Ff*Rf = Day of Judgement. S BDD BBBB BBB BBBB BBBBB BBBS BBBBB BBBB করা যুক্তিযুক্ত হয় নাই। এরূপ ক্ষেত্রে ভয়প্রাপ্তি মার্জনীয়।