পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ "> সিরাজ-চরিত্র। ו בול הנר পাটনায় উপনীত হইয়াই সিরাজের নিকটে চলিলেন ; আবার মিলন হইল। সমস্ত বিবাদবিলম্বাদ উভয়ের অশ্রুধারায় ভাসিয়া গেল। অল্পকাল পাটনায় থাকিয়া উভয়ে রাজধানী প্রত্যাগত হইলেন । রাজধানীতে ফিরিয়া সিরাজের উচ্ছম্বলতার আরও বৃদ্ধি পাইল ; নবাব আর সাহস করিয়া কোন কথা বলিতে পারিতেন না,-আর কোন কালেই বা চরিত্রসংশোধনের জন্ত কিছু বলিয়াছেন ? দিন দিন সিরাজ বিনাশের পথে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । অসঙ্গত কামাসক্তিই সিরাজচরিত্রের সর্বপ্রধান কলঙ্ক, এবং এখানে ইহা ভীষণরূপে প্রতিভাত । সুবিখ্যাত মুতাক্ষরীণ-প্রণেতা গোলাম হোসেন লিথিয়াছেন,– ১ ) “মহাত্মা আলিবর্দী খাঁর শ্ৰীবৃদ্ধির দশায় তাহার পরিবারবর্গ যেরূপ লাম্পট্য ও অনাচার আরম্ভ করিয়াছিল, তাহা ভদ্র ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব । তাহীদের ঐ সমস্ত দুষ্কৃতি তাহার অকলঙ্ক কুলে চিরদিনের মত কালিমালেপন করিয়া রাখিয়াছে। তাহার কস্তারা ও প্রিয়তম সিরাজুদ্দৌলা যেরূপ ঘৃণাৰ্ছ ষ্টাচার করিতেন, তাহা যে কোন লোকের পক্ষেই নিতান্ত অবশঙ্কর। তাহদের মত উচ্চবংশীয় সন্ত্রান্ত ব্যক্তির ত কথাই নাই। তাহার আদরের গোপাল সিরাজুদ্দৌলা নগরের রাজপথে ছুটাছুটি করিয়া এরূপ স্বণিত ও অকথ্য আচরণ করিত যে, লোকে দেখিলে অবাক্ হইত। তাহার সহচর নবাব-পরিবারের এক দল দুশ্চরিত্র যুবকের সহিত সে সৰ্ব্বদাই জঘন্ত ব্যবহারে কীলক্ষেপ করিত। পদমৰ্য্যাদা, বয়স, বা স্ত্রীপুরুষ, কিছুই গ্রাহ করিত না। নবাব আলিবর্দী খ বিবিধ বিপদের মধ্যে কষ্ট করিয়া যে রাজপদ ও সন্মান উপার্জন করিয়াছিলেন, এই কুকীৰ্ত্তিই তাহার ধ্বংসের পথ প্রশস্ত করিতে লাগিল। ক্রমাগত উপেক্ষিত হওয়ায়, এই অনাচারস্রোত বৰ্দ্ধিত হইয়া সেই অভ্রান্ত সৰ্ব্বদ্রষ্টার অাক্রোশ আকর্ষণ করিল। নবাব দেখিয়াও না দেখায়, এই অনাচার সিরাজের চরিত্রে স্বাভাবিক হইয়া উঠিল ; উত্তরোত্তর নিভাক হইয়া সিরাজ ক্রমশঃই অত্যাচার অনাচারের পথে অধিকতর অগ্রসর হইতে লাগিল। ক্রমে ইহাতে তাহার আর কিছুমাত্র অনুশোচনা রহিল না। তাহার এই অসঙ্গত কামাসক্তির নিকট ইচ্ছামত স্ত্রী-পুরুষের বলিদান চলিতে লাগিল ; যৌবনস্থলভ চাপল্যে যাহাকে ইচ্ছ, তাহারই উপর অনাচার ও উচ্ছঙ্খলতা আরব্ধ হইল। কুক্ৰিয়াসক্ত মনের মত সহচরে বেষ্টিত হইয় ( , ) Mutaqh. Trans. Vol 1.2 p. 644 &c.