পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>" と বাঙ্গলার ইতিহাস । * *; এখানে পৌছিয়াই তিনি হোসেন কুলী ও তাহার ভ্রাতাকে নিজের সমক্ষে আনিবার আদেশ দিলেন। পাশ্ববৰ্ত্তী হাজী মেহেদীর গৃহ হইতে লুক্কায়িত হোসেন কুলীকে টানিয়া বাহির করা হইল। সিরাজ তাহাকে খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিবার আদেশ দিলেন ; উপযুক্ত সহচরবর্গও আদেশপালনে অণুমাত্র দ্বিধা করিল না। হোসেন কুলীর অন্ধ ভ্রাতা হায়দর কুলীরও ঐরূপ দণ্ডের ব্যবস্থা হইল। হায়দর একজন প্রাচীন যোদ্ধা ; তিনি হোসেন কুলীর মত অনুনয়, বিনয়, বা প্রাণভিক্ষা না করিয়া, বীরের মত, সিরাজ ও র্তাহার পরিবারবর্গের উপর অভিশাপ বর্ষণ করিতে করিতে নিহত হইলেন। ইতিপূৰ্ব্বে সিরাজের পরামর্শে ঢাকায় হোসেন কুলীর ভ্রাতুপুত্ৰ হোসেন উদ্দীন খারও প্রাণবধের উল্লেখ আছে । ( s ) সত্য বটে, মুতাক্ষরীণকার বলিয়াছেন,–সিরাজুদ্দৌলা হোসেন কুলীর হত্যার প্রধান উদ্যোগী। কিন্তু এক জন লোককে এইরূপে নিহত করিবার জন্ত নবাব পর্যন্ত সকলেই সন্মতি দিলে, তাহদের কাহাকেও সিরাজের অপেক্ষা অল্প দোষী বলিতে কাহার প্রবৃত্তি হইবে ? পারিবারিক কলঙ্কমোচনের জন্ত লোকে হঠাৎ এইরূপ হত্যাকাণ্ড করিয়া ফেলে,-কিন্তু এত পরামর্শ আঁটিয়া, প্রবাণে নবীনে একমত হইয়া, এরূপ কাৰ্য্য প্রায় ঘটে না। হোসেন কুলীর সম্বন্ধে উল্লিখিত কারণ বর্তমান থাকিলেও, তাহার অন্ধ ভ্রাত হায়দর, বা ভ্রাতুষ্পপুলের বিষয়ে অবশু কিছু বলিবার নাই। অন্ত সময়ে না হউক, তাহার শোচনীয় শেষমূহুর্বে সিরাজকে এ জন্ত বড়ই অনুতপ্তহৃদয়ে আত্মপ্রকাশ করিতে দেখা যায়। গোলাম হোসেন জলদগম্ভীরস্বরে বলিয়াছেন, –“এই নির্দোষীর রক্তপাত চিরদিনের জন্ত আলীবর্দীর বংশে কলঙ্কলেপন করিয়া রাখিয়াছে, এবং ইহাই তাহার ধ্বংসের মূল ভূত কারণ । ( ২ ) এক্ষণে সিরাজের মনস্তুষ্টির জন্ত যুবরাজের উপযুক্ত এক প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণের কল্পনা হইল। নোয়াজিস মহম্মদ রাজধানীর দক্ষিণপ্রান্তে মতিঝিলের সম্মুখে এক প্রকাণ্ড প্রাসাদে বাস করিতেছেন ; বিহারের নবীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার জন্ত অন্ততঃ সেইরূপ গৃহের প্রয়োজন। ভাগীরথীর পশ্চিম তীরে একটি ( ; ) Mutaqh, Trans 1,646. (*) The innocent blood spilt on that occasion proved as fertile in troubles as that of siavush of old, &c. Mut, 1 p 649.