পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - ইংরেজ কোম্পানী । >b-> BBBBBBSBBBBBBSS BBB SBBB S BBBBBB BBB BB BB হইয়াছে । ১৭৫১ খৃষ্টাব্দের গ্রীষ্মকালে নবাব মারাঠাগণের সহিত শেষ সন্ধি করিয়া রাজধানী প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন । অতঃপর তিনি দেশের আভ্যন্তরিক কার্য্যে মনোনিবেশ করিবার সুযোগ পাইলেন। কোম্পানীর কৰ্ম্মচারিবর্গ ও তাহা দের আশ্রয়ে পোষিত কয়েকজন দেশীয় বণিক সরকারের মাশুল না দিয়া কোম্পানীর নিশান তুলিয়া, বাণিজ্য চালাইতে আরম্ভ কহিয়াছিল। ১৭৫১ খৃষ্টাব্দের ২ মে তারিখের নবাবের এক পরোয়ানায় দৃষ্ট হয় রামকৃষ্ণ শেঠ নামক কলিকতাবাসী জনৈক মহাজন মুর্শিদাবাদ সায়ের চৌকিতে মাশুল BS BB BBBB BBBS BBBBSBBBBB BB BBBS BB BBBB BB সত্বর রাজধানী পাঠান হউক।” পুনরায় ১৭৫১ খৃঃ ১৯শে আগষ্ট্রের পত্রে গভর্ণর ডসন সাহেবকে লিখিত হইয়াছে, ‘নবাব স্বজা খার সময়ে জৰ্ম্মানের দেশ হইতে তাড়িত হইয়াছে ; এক্ষণে অাক্টন ও ইলিস নামক দুই জন ইংরেজ জৰ্ম্মানদের আশ্রয়ে যুদ্ধজাহাজ লইয়। ভাগীরথীর মুখে থাকিয় মুসলমান জাহাজ লুণ্ঠনাদি করিবার চেষ্টায় আছে, অতএব ইংরেজের অন্ত ইউরোপীরগণের সহিত মিলিত হইয় তাহদের দমনের ব্যবস্থা করিবেন। এই মৰ্ম্মে পরোয়ানা পাইয়া আপনি যে লিথিয়াছেন, এ দেশে ইউরোপীয়গণের সহিত যুদ্ধ করিতে কোম্পানীর নিষেধ আছে, এ কথা সঙ্গত নহে ; কারণ, সুজা খার সময়ে ইংরেজ ও ওলন্দাজ মিলিয়া ঐ জন্মানগণকে বিধ্বস্ত করিবার চেষ্ট হুইয়াছিল। জৰ্ম্মানের দেশে আসিলে সমস্ত ইউরোপীয়গণের ব্যবসায়ের ক্ষতি ; উপরন্তু এরূপ ঘটিলে আমি ইংরেজ-বাণিজ্য বন্ধ করিতে বাধ্য হইব, বাদশাহের নিকট হইতেও ঐরূপ আদেশ আনাইব,সুতরাং শেষে অনুতাপ করিতে হইবে।” উত্তর-পত্রে ডসন সাহেব লিখিতেছেন, ‘পথদর্শী ইংরেজ নাবিকগণকে আদেশ দেওয়া হইয়াছে, তাহারা যেন কদাচ ঐ জৰ্ম্মানদিগকে নদীতে না লইয়া আসে, ভরসা করি যে, ফরাসী ও ওলন্দাজগণ ও ঐরূপ করবেন ; নবাবের অনুগ্রহে তাহারা নিশ্চয়ই জাহাজ ডুবিয়া বিনষ্ট হইবে। এই সময়েই নবাবের লোকে ফরাসীগণের কাশিমবাজার কুঠী অবরোধ করিয়াছে, তাহার ৫০ হাজার টাকা দিয়া নিদ্ধতি পাইয়াছেন এই ব্যাপারেরও উল্লেখ আছে। এই সমস্ত কারণে ১৭৫২ খৃষ্টাব্দে যুবরাজ সিরাজুদ্দৌলাকে ষোড়শোপচারে তৃপ্ত করিয়া কোম্পানীর কার্য হাসিল হইল বলিয়া ইংরেজপক্ষ সমূহ উল্লসিত হইয়াছেন, দেখা গেল।