পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংস্করণের বিজ্ঞাপন । ছয় বৎসরে প্রথম সংস্করণ নিঃশেষিত হইয়াছে, ইহাও আশার কথা। এত বেশী মুলোর বৃহৎ নীরদ বাঙ্গলা ঐতিহাসিক গ্রন্থ যে অধিক বিক্রীত হইবে, প্রথমে সে ভরসাই ছিল না। প্রবাসী’ পত্রের প্রবীণ ঐতিহাসিক সমালোচক মহাশয় আমার এই সামান্ত গ্রন্থের সমালোচনায় লিখিয়াছিলেন,–“কৰ্ম্মেই তোমার অধিকার ফলে কদাচ নহে!—গীতার এই উক্তি এখন বাঙ্গলার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থকারগণের একমাত্র সান্থনা । বিদ্বৎ-সমাজে আমার এই গ্রন্থ আদরণীয় হইয়াছে, ইহাই আমি যথেষ্ট পুরস্কার মনে করি। গ্রন্থশেষে পরিশিষ্ট্রে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির মত উদ্ধত হইল। ভূতপূৰ্ব্ব স্কুল সমূহের ইনস্পেক্টর সম্প্রতি পরলোকগত পণ্ডিতবর রাধানাথ রায় বাহাদুর এবং প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় মত-প্রদানের সময় এই সামান্ত গ্রন্থের মৌলিক আলোচনার নিমিত্ত ভূয়সী প্রশংসা করিয়াছেন। পণ্ডিত রাজেন্দ্র চন্দ্র শাস্ত্রী রায় বাহাদুর বাঙ্গলার লাইব্রারীর বার্ষিক রিপোর্টে ( ১৯০২ ) গ্রন্থের যথেষ্ট সুখ্যাতি করিয়াছেন। ঐতিহাসিক পণ্ডিত মিঃ বেভারিজ অধ্যক্ষ মিঃ এন ঘোষ এবং অন্ত কয়েক জন অভিজ্ঞ ব্যক্তি আশাতিরিক্ত প্রশংসা করিয়া আমার উৎসাহ বৰ্দ্ধন করিয়াছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত Imperial Gazetteer এও এই গ্রন্থের মুখ্যাতি আছে। সুতরাং গ্রন্থকারের কোন ক্ষোভ থাকা দূরে থাকুক, বাঙ্গলার ইতিহাসে মৌলিক সন্ধানের প্রথম চেষ্টা বলিয়াই যে অনেকে উৎসাহ দান করিয়াছেন, ইহাই তাহার বিশ্বাস । কারণ, এই গ্রন্থের মধ্যে যে ষথেষ্ট ক্রটি আছে, তাহা আমি অন্তের অপেক্ষা অধিক পরিমাণেই অবগত আছি। আমার উৎসাহদাতা, স্বয়ং সাহিত্যসেবী এক মহাত্মা বলেন, গ্রন্থের শেষাৰ্দ্ধ আরও বিস্তৃতভাবে লেখা আবশ্যক। এ সংস্করণে তাহার অনুরোধ রক্ষা করিতে পারিলাম না ; কেবল স্থানে স্থানে সংশোধন, কোথাও বা সামান্ত পরিবর্তন করিয়া পুস্তক প্রকাশিত করিলাম। এবারে গ্রন্থের আকার কিছু বৰ্দ্ধিত হইলেও দেশের আর্থিক অবস্থা লক্ষ্য করিয়া সাধারণ সংস্করণের মূল্য কমাইয় দেওয়া হইল। - প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হইবার অনেক পরে ভারত গবৰ্ণমেণ্টের দলিল পত্র রক্ষক অধুনা নাগপুর প্রদেশের শিক্ষাবিভাগের ডিরেক্টর মিঃ এস. সি. হিলের Three Frenchmen in India’ নামক পুস্তক এবং তংপরে তাহার বহুদিনের পরিশ্রমে সংগৃহীত সিরাজুদ্দৌলার সময়ের কাগজ পত্র সম্বন্ধে তিন খণ্ডে সমাপ্ত