পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম স । ঘেসিটী বেগম । >b〜。 ( ১১৬৯ হিঃ ) ১৭৫৫ খ্ৰীষ্টাব্দে নবাবের ভ্রাতৃপুত্রদ্বয় নোয়াজিস ও সইদ আহম্মদ উভয়েই কালগ্রাসে পতিত হন। নোয়াজিস মহম্মদ দুৰ্ব্বলচিত্ত হইলেও, দাতা ও বিপয়ের বন্ধু ছিলেন । আপামর সাধারণের নিকটে তাহার মতিঝিলপ্রাসাদের বিরাট তোরণদ্বার উন্মুক্ত ছিল । ইহাদের মৃত্যুর অল্পকাল পরেই, BBB S BBBBBB BBB BBBB BBBB B BB BBB BBBB BB শয্যাশায়ী হইলেন ; তাহার এই শেষ পীড়ার অবস্থায় কিয়ংকাল তাহার পরামর্শমত সিরাজুদ্দৌলা রাজকাৰ্য আলোচনা করিতে আরম্ভ করিলেন। কথিত আছে, এই সময়ে মাতামহের বিশেষ অনুরোধে সিরাজ কোরাণ স্পর্শ করিয়া পান দোষ ত্যাগ করেন ( ১ ) । অতঃপর নোয়াজিদ মহম্মদের পত্নী নবাবের জ্যেষ্ঠ কন্ত ঘেসিটী বেগম আপন পালিত পুত্র সিরাজুদ্দৌলার কনিষ্ঠ সহোদর এক্রাম-উদ্দৌলার এক আপোগণ্ড শিশুর নামে সিংহাসন লাভের আশার আত্মপক্ষ সবল করিতে প্রয়াসী হইলেন। হোসেন কুলী খার শোচনীয় মৃত্যুর পূর্ব হইতেই রাজা রাজবল্লভ ঢাকায় সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা হইয়াছিলেন। নোয়াজিস মহম্মদের মৃত্যুঘটনার সময়ে তিনি মুর্শিদাবাদে উপস্থিত ছিলেন। তিনি চিরদিনই এক জন চক্ৰী বলিয়া বিখ্যাত। এক্ষণে ঢাকার তহবিলের হিসাব নিকাশের সময় তিনি বুঝিলেন, সিরাজুদ্দৌলার পক্ষ সমর্থন করিলে তাহার নিজের কোন লাভের আশা নাই ; সিরাজুদ্দৌলার হস্তে সম্মান রক্ষা হইবে, এ ধারণাও তখন দরবারের প্রধানপক্ষের মধ্যে কাহারও মনে ছিল না। রাজবল্লভ চিরকাল নোয়াজিসের অনুগত, ঘেসেটা বেগমও শুভানুধ্যায়ী বলিয় তাহকে শ্রদ্ধা করিতেন। নিঃসন্তান নোয়াজিস মহম্মদ সিরাজের কনিষ্ঠ এক্রাম উদ্দৌলাকে সস্নেহে পালন করিয়াছিলেন ; এক্রাম উদ্দৌলার শোকেই নোৱাজিসের প্রাণবায়ুর অবসান হয়। মৃত্যুর পূৰ্ব্বেই নোয়াজিন মহম্মদ এক্রমের শিশুপুত্রকে নিজের উত্তরাধিকারী করিয়া যান ; এক্ষণে বেগমের পক্ষ হইতে ঐ শিশুসন্তানকে মসনদে বসাইবার কল্পনায়, রাজবল্লভ বেগমের অনুগত সেনানীদলের সহিত মতিঝিলের প্রাসাদে মন্ত্রণ অণটিতে লাগিলেন । ঐতিহাসিক অল্প সাহেব বলিয়াছেন, ‘নোয়াজিদ মহম্মদের মৃত্যুর পর তাহার বিধবা পত্নীর উপর ও রাজবল্লভের আধিপত্য স্থায়ী থাকিল ; বেগমের (*) Scraftons Reflections—P.50,