পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* > と বাঙ্গলার ইতিহাস । ** * গণকে জাহাজে উঠাইল্প দিবার জন্ত গুপ্তদ্বার উন্মুক্ত হইলে, ভাগীরথীতীরে মহাকোলাহল উত্থিত হইল। সকলে তীরভিমুখে ধাবমান, সৰ্ব্বাগ্রে জাহাজে পলায়নের জন্য সকলেই ব্যস্ত। যে যে নৌকা সম্মুখে পাইল, তাহতেই আরোহণ করিল। কতকগুলি লোক ডিঙ্গী উলটাইয় নৌকা সহ জলে নিমজ্জিত হইল ; কেহ বা তীরে উঠিয়া নবাব-সৈন্তের হস্তে বন্দীভূত ও নিহত হইল। এ দিকে তীর হইতে নবাব-সৈন্তের গোলাগুলি খাইয়া বিব্রত হইয়৷ জাহাজের লোকে নঙ্গর তুলিয়া, জাহাজ ভাসাইয়া দিয়া তিন মাইল দূরে গিয়া রহিল । সঙ্গে সঙ্গে অদ্যান্ত তরণী ও ছাড়িয়া চলিল। সমস্ত নৌকা ছাড়িয়া যায় দেখিয়া, অধ্যক্ষ ড্রেক্ সাহেবও পলায়নপর হইলেন । যাহারা পলায়নের অবসর না পাইয়া পড়িয়া রছিলেন, নবাব-সৈন্তের আক্রমণে ত্রস্ত হইয়া ত্বরায় দ্বার রোধ করিয়া, তাহারা রোষে ও ক্ষোভে পলায়িতগণের পিতৃপুরুষের জন্ত কদৰ্য্য আহায্যের ব্যবস্থা করিতে করিতে অগত্যা প্রত্যাবর্তন করিলেন। পলায়িত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অধ্যক্ষ ড্রেক, মিঃ ম্যাকেট্‌, সেনানী মিনচিন ও কাপ্তেন গ্রান্ট প্রধান। উত্তরকালে ড্রেক মহোদয়ের কলঙ্কক্ষালনের চেষ্টায় তাহার পক্ষের লোকেরা যে কৈফিয়ৎ দাখিল করিয়াছেন এবং ইতিহাসেও যাহা স্থান পাইয়াছে, (১) তাহার সমালোচনা নিম্প্রয়োজন। সেনানী গ্রান্ট মহোদয় আত্মরক্ষা না করার জন্য কাশিমবাজারের ইংরেজগণকে অনুষোগ করিয়া স্বয়ং “সজীবতি’ ন্যায়ের অবমাননা করেন নাই ! অধ্যক্ষ ড্রেক্‌ মহোদয়ের পলায়ন সংবাদে অবশিষ্ট লোকেরা হলওয়েল সাহেবকে নেতা মনোনীত করিলেন। হলওয়েল সাহসে ভর করিয়া, অন্য সকলকে লইয়া দুই দিন যথাসাধ্য দুৰ্গরক্ষার প্রয়াস পাইলেন। ইতিমধ্যে পলায়নের উপায়-চিন্তাও চলিতে লাগিল। দুর্গপ্রাচীর হইতে ক্রমাগত জাহাজস্থ লোকগণকে সঙ্কেত S BB DDDS BBB BBB BBBBS BBB BB BBBS BBBBB BBB চলিয়াছিল যাহাতে তাহারা একবার ফিরিয়া অবরুদ্ধগণের উদ্ধারসাধন করে। অনেকেরই বিশেষ আশা ছিল, স্বদেশবাসিগণকে এইরূপে শক্রহস্তে ফেলিয়া কাপুরুষের মত কেবল নিজের প্রাণ লইয়া এরূপ নিৰ্দ্দয়ভাবে তাহারা পলায়ন করিবে না। (২) কিন্তু হায়, সে আশা সফল হইল না। সঙ্কেতনিবেদন বুঝিতে পারিরাও, পলাতকের আর ফিরিতে সাহসী হইল না। তখনও আর ( ১ ) Orme সম্প্রতি মিঃ হিলও ইহাতে যোগ দিয়াছেন। ( & ) Cooke's Evidence.