পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - | কলিকাতা আক্রমণ । * >" একটি আশা ছিল ; রয়েল জর্জ নামক যে যুদ্ধজাহাজ চিৎপুর থালের ধারে নঙ্গর করিয়া ছিল, সেখানি দুর্গের নিকট আনাইবার জন্ত নৌকায় করিয়া জনৈক কৰ্ম্মচারীকে পাঠান হইল। উদ্যোগের ক্রটি না হইলেও, ভাগ্যক্রমে জাহাজ আসিতে আসিতে চড়ায় লাগিয়া গেল। নবাব-সৈন্তের গোলাবর্ষণে জাহাজস্থ লোকেরা জাহাজ ত্যাগ করিয়া সন্তরণে পরপারে প্রস্থান করিল। ঐতিহাসিক অন্ম সাহেব বলেন,–‘পঞ্চদশ সাহসী বীর একখানি ক্ষুদ্র তরণী লইয়া অগ্রসর হইলেই শক্রপক্ষের আক্রমণ-চেষ্ট-সত্বেও অবরুদ্ধ লোকগণের উদ্ধার সাধনে সক্ষম হইত।’ পর্তুগীজ ও আম্মানী বাদে দুর্গমধ্যে সৈন্ত ও ভলণ্টিয়ার মিলাইয়। এক্ষণে ১৭০ জন মাত্র লোক অবশিষ্ট রহিল। ইহার আর যাহাতে পলায়ন না করিতে পারে, তজ্জন্ত হলওয়েল, সাহেব পশ্চিমের দ্বারে তালাবদ্ধ করিলেন । মধ্যাহ্ন পর্য্যন্ত নবাব-সৈন্তের ক্রমাগত আক্রমণ হইতে ক্ষুদ্র ইংরেজদল প্রাণপণে আত্মরক্ষা করিল। কোনও অজ্ঞাত কারণে পর্তুগীজ চালিত নবাৰী বৃহৎ কামানগুলি রীতিমত কাৰ্য্য করে নাই। সে দিন অপরাহ্লে ও রাত্রিযোগে আর আক্রমণ হয় নাই, পাশ্ববৰ্ত্তী গৃহে অগ্নিসংযোগ চলিতেছিল। ওলন্দাজ সৈন্তদল রাত্রে পলায়িত কৰ্ম্মচারীদিগের বাসা ভাঙ্গিয়া মদ্যপানে উন্মত্ত হইল। একজন সেনানী ও ৫৬ জন সৈন্ত প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করিয়া প্রস্থান করিল ( ১ ) । ২০ শে জুন প্রত্যুষে সহস্ৰ সহস্ৰ নবাব-সৈন্ত নবীন উদ্যমে দুর্গপ্রাচীরের মূলদেশে অগ্রসর হইতে লাগিল। দুর্গবাণী ইংরেজগণের অনেকেই এখন নিতান্ত বিপন্ন ও ভীত হইয়া আত্মসমর্পণের জন্ত হল ওয়েল সাহেবকে অনুরোধ করিলেন। হলওয়েল আর কি করিবেন ? অনন্তোপায় হইয়া বন্দী অমিচাদের শরণ লইলেন। সেনানায়ক রাজা মাণিকচাদের নামে অমিচাঁদ এক পত্র লিখিলেন ;–‘ইংরেজেরা নবাবের আজ্ঞাপালনে সম্মত আছে, যুদ্ধ বন্ধ করা হউক ইত্যাদি কথায় নবাবের অনুগ্রহ ভিক্ষা করা হইল। দুর্গপ্রাচীর হইতে পত্ৰখানি ছুড়িয়া ফেলিবামাত্র কে যেন তাহা তুলিয়া লইল, কিন্তু তাহার আর কোন প্রত্যুত্তর আসিল না। মধ্যাহ্ন পৰ্য্যন্ত নবাব-সৈন্ত ক্রমাগত আক্রমণ করিল এবং এই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ২৫ জন ইংরেজ হত বা গুরুতররূপে আহত হইল এবং ৭০ জন অল্প আঘাত পাইল। অবশিষ্ট সৈন্তগণ এই ( ; ) Captain Mill's and Greys’ Accounts Հե