পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ー、Rや বাঙ্গলার ইতিহাস । 학: | হইল ; ইহাতে সিরাজুদ্দৌলার সমস্ত সম্পত্তি ও বার্ষিক এক কোট টাকা । রাজস্ব দিবার সৰ্ত্তে শওকত সমগ্র দেশ অধিকার করিয়া লইবেন, এই আদেশ ছিল ( )। এই অনুমতিপত্র আসিবার পরে শওকতের অবশিষ্ট বাহঙ্কান তিরোহিত হইল ; সইদ আহম্মদের প্রবীণ কৰ্ম্মচারিবর্গ প্রতিনিয়ত অবমানিত হইতে লাগিলেন, অনেক স্থলে সহচরগণের মনোমত অপদার্থ লোকের নিয়োগ হইল। লালু হাজারী নামক প্রবীণ তোপাধ্যক্ষ সেনানীকে অকারণে অপমান করিয়া নিৰ্বাসিত করা হইল। ঐতিহাসিক গোলাম হোসেন শওকতের পিতার বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী ; তিনি এক্ষণে পূর্ণিয়ায় বাস করিতেছিলেন। শওকতের এই সময়ের ব্যবহার বর্ণন করিয়া তিনি যে সুদীর্ঘ বিবরণী দিয়াছেন, তাহাতে অনুমিত হয়, এরূপ কাণ্ডজ্ঞান-বিবর্জিত যুবক কদাচ রাজপদ কলঙ্কিত করিয়াছে। ভারতের ইতিহাসে অৰ্ব্বাচীন নরপতির অভাব নাই, কিন্তু শওকত নিজগুণে সকলকেই পরাভূত করিয়াছেন। এ দিকে লালু হাজারী পদচ্যুত হইবার পরে মুর্শিদাবাদ-দরবারে উপনীত হইলেন। সিরাজুদ্দৌলা তাহার নিকট পূর্ণিয়ার সংবাদ, শওকতের মতি গতি সমস্তই শুনিলেন। উজীরের অনুমতিপত্র ও মুর্শিদাবাদ দরবারের ওমরাগণের সহানুভূতিই চিন্তার বিয়য় হইল। তখন প্রবীণ সদস্তগণের মনোনয়নের উদ্যোগ হইল ; সম্ভবতঃ সদস্তবর্গও শওকৎ-চরিত্র অবগত হইয়াই পূৰ্ব্ব উদ্যম পরিত্যাগ করিয়াছিলেন। এক্ষণে বর্ষাকাল, যুদ্ধযাত্রার সময় নহে ; সকলের পরামর্শে শওকতের ভাব ভক্তি পরীক্ষা করিবার অভিপ্রায়ে রাজা দুর্লভরামের কনিষ্ঠ ভ্রাত রাসবিহারীকে পূর্ণিয়া প্রদেশের বীরনগর ও গোন্দোস্বারার ফৌজদার নিয়োজিত করিয়া প্রেরণ করা হইল। রাসবিহারী রাজমহল হইতে শওকতের নিকটে সিরাজুদ্দৌলার পত্র প্রেরণ করিলেন। পত্র মন্ম অবগত হইয়া নিৰ্ব্বোধ শওকত প্রবীণপক্ষের পরামর্শে কর্ণপাত না করিয়া, উত্তর পাঠাইলেন,–‘আমি স্বনামে বঙ্গবিহার উড়িষ্যার সুবাদারীপদের বাদশাহী সনন্দ পাইয়াছি। কিন্তু তুমি আমার ভ্রাতা, তোমার প্রাণবধের ইচ্ছ করি না। তোমার ভরণপোষণ জন্ত ঢাকা-প্রদেশের যেখানে ইচ্ছা স্থান লইতে পারিবে, তোমার প্রার্থনামত হইরে জন্ত সনন্দ প্রদত্ত হইবে। ইতিমধ্যে রাজকোষ ও অন্তান্ত দ্রব্যাদি আমার কৰ্ম্মচারিগণকে বুঝাইয়া দিয়া SS SSSSSS BBB BBB BBBBBBB BBBS BBBBB BBBBBS BBB S SBBBBBS (ا: ۹۶۶ |