পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* অ । মণিহারীর যুদ্ধ । RRసి খণর সুযোগ্য পুত্রদ্বয় দিলির স্ব ও অসালং খ প্রভৃতি বাঙ্গল সৈন্যের শীর্ষস্থানীয় পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন। তাহদের ক্ষুদ্র কামান গুলি কিছুদূর অগ্ৰে পাঠাইল্প শত্রুশিবিরে গোলাবর্ষণ আরম্ভ হইল। কিন্তু এত দূর হইতে অধিকাংশ গোলা শিবির পর্যন্ত পছছিল না , অৰ্দ্ধপথে পঙ্কসলিলে পতিত হইতে লাগিল। কিয়ংক্ষণ পরে বৃহৎ কামান গুলি আসিয়া উপস্থিত হইল। তথন জুই চারিটি গোলী শওকত-শিবিরে পতিত হইতে লাগিল। শওকত জঙ্গ ইহাতেই ত্রস্ত ও হতবুদ্ধি হইয়া পড়িলেন । শু্যামসুন্দর নামক এক জন বাঙ্গালী কায়স্থ শওকত জঙ্গের পিতার আমল হইতে পূর্ণিয়ার গোলন্দাজ-সৈন্তের বেতনাধ্যক্ষ এবং কাৰ্য্যতঃ উহার অধিনায়ক ছিলেন। ( ) ইনি প্রথমে বৃহযুখে আপন সৈন্যদল ও কামান সংস্থাপিত করেন। কিন্তু শওকংজঙ্গকে বিব্রত দেখিরা, তিনি এই সময়ে আপন কামানগুলির সহিত অৰ্দ্ধক্রোশ অগ্রসর হইয়া শত্রুপক্ষের প্রতি গোল চালাইতে আরম্ভ করিলেন। স্যামসুন্দর বীরপ্রতাপে যুদ্ধ চালাইয়া শত্রুপক্ষকে কিঞ্চিৎ বিব্রত করিলেন বটে, কিন্তু সুরক্ষিত বৃহমুখ হইতে বহির্গত হওয়ায়, তাহার পক্ষে বিলের ব্যবধানরূপ সুবিধা অন্তহিত হইল। বাঙ্গলা-সৈন্তের কামানের অনলে তাহার পক্ষের ও সমুহ ক্ষতি হইতে লাগিল । বাহা হউক, শওকতজঙ্গ এই সময়ে প্রধান সেনাপতিকে অশ্বারোহী সৈন্তদল লইয়া অগ্রসর হইতে আদেশ দিলেন। বিচক্ষণ সেনানায়কগণ বলিয়া পাঠাইলেন, এ সময়ে অশ্বারোহী-সৈন্ত অগ্রসর হইলে সমস্তই নষ্ট হইবে। অজ্ঞান শওকতজঙ্গ উত্তর পাঠাইলেন, “হিন্দু খামন্বন্দর কেমন বীরপ্রতাপে যুদ্ধ করিতেছে। তোমরা মুসলমান, বীরপুরুষ বলিয়া গৰ্ব্ব করিয়া থাক ; এ সময়ে নিতান্ত কাপুরুষের ন্যায় কাৰ্য্য করা শোভা পায় না।’ সেনানায়কগণ ধিক্কার সহ করিতে না পারিয়া, বেগে সদলে শত্ৰুপক্ষের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। আদেশ দিয়া শওকৎজঙ্গ বাহাদুর শিবির মধ্যে প্রবেশ করিয়াছিলেন । উত্যক্ত মস্তিষ্ক শীতল করিবার জন্য অভ্যস্ত ভাঙ্গ’ ও সঙ্গীতের ব্যবস্থা হইল ; ক্রমে শওকতজঙ্গের চেতনা অন্তৰ্হিত হইল । এ দিকে ভয়চকিত শওকতের গঞ্জনায়ু দূরে সংস্থাপিত প্রধান সেনাপতি কারগুজার থার অধীনে পূর্ণিয়ার শিক্ষিত অশ্বারোহীদল শক্রপক্ষের দিকে অগ্রসর হইতে গিয়া, বিলের মধ্যে মহাপঙ্কে পতিত হইয়া বঙ্গীয়-কামানের ( ১ ) মুতাক্ষরীণ । ( নামে শওকৎজঙ্গই তোপাধ্যক্ষ )