পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ミ বাঙ্গলার ইতিহাস । * * দক্ষিণাতো মহারাষ্ট্রীয় প্রতাপ আরও বৰ্দ্ধিত হইল ; কয়েকবার যুদ্ধের পর নিজামের পুত্র সলাবংজঙ্গ বালাজীকে বিজাপুর ও দৌলতাবাদ প্রদেশ ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হইলেন (১৭৬০)। এদিকে উত্তর ভারতে পেশোয়ার ভ্রাত রঘুনাথ দিল্লী পৰ্যন্ত আয়ত্ত করিয়া আফগানদিগের অধিকত পঞ্চাব প্রদেশ অধিকার করিয়া লইলেন। পরবর্ষে রঘুনাথের উপর উত্তরাঞ্চলের ভার হস্ত না হইয় সদাশিবের হস্তে সমৰ্পিত হইল। তিনি প্রবীণপক্ষের পরামর্শ অগ্রাহ করিয়া চিরগত মারাঠা যুদ্ধ প্রণালী পরিত্যাগ করিয়া স্বীর অদম্য नाश्नं चित्रत्र चव कविव। আহমদ শ আবদালীর সহিত যুদ্ধদানে অগ্রসর হইলেন। ১৭৬১ খৃষ্টাব্দে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে, সদাশিবের ঔদ্ধতা বশতঃ সমবেত মুসলমান শক্তির নিকট মারাঠ-শক্তি নির্জিত হইল সমগ্র মারাঠ-বাহিনী বিধ্বস্ত হইয়া গেল। বালাজা রাও এই নিদারুণ সংবাদে ভগ্নহৃদয়ে কালকবলে নিপতিত হইলেন। তদীর বংশধরগণ এবং অন্যান্ত মারাঠা প্রধান বর্গ গৃহবিবাদবশতঃ পরস্পরের প্রতি সহানুভূতির অভাবে কিরূপে ক্রমশঃ দুৰ্ব্বল হইয়া উদীয়মান ব্রিটিশ শক্তির অধীন হইয়া পড়িলেন, ইতিহাস পাঠকের তাহা অজ্ঞাত নাই । স্থ প্রসিদ্ধ চিন ক্লিচ খাঁ নিজাম উল মুল্ক দক্ষিণাপথের সুবাদার নিয়োজিত হইয়া, অবসর বুঝিয়া, দিল্লীর দুৰ্ব্বল সম্রাটের অধীনতা পাশ ছেদন পূর্বক হায়দরাবাদে স্বাধীন রাজস্থাপন করেন। তিনি বহু ক্লেশে মারাঠার হস্ত হইতে নিজ রাজ্য রক্ষা করিয়া ঘান | কর্ণাট প্রদেশে আর্কট নগরে নিজমের অধীন একজন নবাব শাসনকর্তা ছিলেন। সে সময়ে ইংরেজ ও ফরাসী বণিক কোম্পানীদ্বয়ের বাণিজ্য-বিস্তার জনিত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কর্ণাট অঞ্চলে যুদ্ধ কলহ সমুথিত হয়। ১৭৪৮ খৃষ্টাব্দে নিজাম উল মুলকের মৃত্যু হইলে, তাহার পুত্ৰ নাজির জঙ্গ ও দৌহিত্র মজঃফর জঙ্গের মধ্যে সিংহাসন লইয়া বিবাদ উপস্থিত হইল। মজঃফর, মাতুল নিজামের বিরুদ্ধে উত্থিত হইয়া, কর্ণাটের ভূতপূৰ্ব্ব নবাবের জামাতা চাদ সাহেব ও ফরাসী অধ্যক্ষ ডুপ্লের সাহায্য প্রাপ্ত হন। ১৭৪৯ খৃষ্টাব্দে এই সম্মিলিত দল কর্ণাট আক্রমণ করিয়া নবাব আনোয়ারুদ্দীনকে নিহত করিলে, তাহার পুত্র মহম্মদ আলী ত্ৰিচিনপল্লীতে পলায়ন করেন। নাজির জঙ্গ সসৈন্তে যুদ্ধাৰ্থ অগ্রসর হইলে, ফরাসীরা মজঃফরের পক্ষত্যাগ করেন ; মজঃফর বন্দীভূত হন এবং চাদ সাহেব পন্দিচেরীতে আশ্রয় গ্রহণ করেন । অল্পদিন মধ্যেই বিশ্বাসঘাতকের চক্রে নাজির জঙ্গ নিহত হওয়ায় মজঃফর নিজাম হইলেন। তখন ফরাসী অধ্যক্ষ ডুপ্লে সমগ্র হায়দরাবাদ ও কর্ণাট ।