পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8S বাঙ্গলার ইতিহাস । * * ~" দিগের বিবাদ বাধিবার সম্ভাবনা রহিয়া গেল। ইতিপূৰ্ব্বে ফরাসীপক্ষ নবাবের. সহিত যোগ দিলে ফল শোচনীয় হইবে ভাবিয়া, কূটনীতিকুশল ক্লাইব ফরাসী গবর্ণরের সন্ধির প্রস্তাবে মত দিয়াছিলেন। অধুনা সে চিন্তা তিরোহিত হই স্থাছে ; সুতরাং ক্লাইবের মনে পুনরায় চিরশত্রু ফরাসীর উচ্ছেদ-কল্পনা জাগিয়া উঠিল। নিৰ্ব্বোধ () ফরাসীগণ আত্মস্বার্থের প্রতি দৃষ্টিপাত না করিয়া, স্বদেশে বা অন্তর উভয়পক্ষের বিবাদসত্ত্বেও, বঙ্গে শান্তিস্থাপনের প্রয়াসী হইয়া, নবাবের আহবানে যোগ না দিয়া বরং তাহার বিরাগভাজনই হইয়াছিলেন । কিন্তু ইংরেজপক্ষ স্বার্থ ত্যাগ করিবার পাত্র নহেন। দ্বিতীয় সন্ধিপত্র প্রেরণের সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাইব ফরাসী-সম্বন্ধে নবাবের মনোভাব জানিবার জন্য অমিচাদকে বলিয়া দিয়াছিলেন। পরোক্ষভাবে ফরাসি-দলনের অনুমতি প্রার্থনা হইল । সিরাজুদ্দৌলা এ প্রস্তাবে বিষম বিরক্ত হইলেন ; প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানীদ্বয় পরস্পরের ক্ষমতা সংঘত রাখিলে তাহার অনুকূল হইবেন, এ সহজ কথা অবশু তাহার অজ্ঞাত ছিল না। তথাপি সন্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বিবাদ বাধিবার আশঙ্কায় নবাব কৌশলে বলিয়া পঠাইলেন, দক্ষিণপথ হইতে বুস সদলে বঙ্গে আসলে যেন তাহাকে দেশে প্রবেশ করিতে দেওয়া না হয়। নবাব অতঃপর বিশ জন ইংরেজ গোলন্দাজ চাহিয়া লইয়া ও ওয়াটুস সাহেবকে নম্র প্রকৃতির লোক বলিয়া দরবারে রাখিয়া দিবার অনুরোধ করিয়া, মুর্শিদাবাদ যাত্র করিলেন। (১) পথে চন্দননগরে ফরাসীর সহিত শিষ্টাচার করিয়া এক লক্ষ টাকা প্রত্যপণ করিয়া গেলেন। (২) এদিকে নবাবের প্রকাগু নিষেধ নাই বলিয়া, কাইব সদলে ভাগীরথী পার হইয়া, চন্দনগরের দিকে কয়েক মাইল অগ্রসর হইয়া রছিলেন । সিরাজুদ্দৌলা অগ্রদ্বীপে উপনীত হইয়াছেন, এমন সময়ে ফরাসীদিগের কাতর প্রার্থনা তাহার নিকট পন্থছিল। নবাব তৎক্ষণাৎ ইংরেজপক্ষকে চন্দননগর আক্রমণ করিতে নিষেধ করিয়া পত্র প্রেরণ করিলেন। সঙ্গে সঙ্গে হুগলির ফৌজদার রাজা নন্দকুমারের প্রতি অনুমতি হইল, ইংরেজের ফরাসী কুঠা আক্রমণের উদ্যম করিলে তিনি যেন সসৈন্যে বাধা প্রদান করেন। তাহার সাহায্যার্থ অপর একদল সৈন্তপ্রেরণেরও ব্যবস্থা হইল। ( 3 ) Orme–Vol II, 136. ( & ) Hill's Records—Vol II. p. 301.