পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8b" বাঙ্গলার ইতিহাস । ** পুৰ্ব্ব পত্রের উত্তর আসিল, “হোলীর বন্ধের জন্য অঙ্গীকৃত টাক বিলম্ব হইয়াছে, সন্ধি ভঙ্গ করা আমার অভিপ্রেত নহে ; আমি ফরাসীদের কোন ও সাহায্য করি নাই। প্রজারক্ষার জন্য নন্দকুমারের সহিত সৈন্য প্রেরিত হইয়াছে মাত্র। কোন রূপ যুদ্ধবিবাদ না হয়, এই ইচ্ছা ও অনুরোধ। ফরাসীদুতকে বিদায় দিয়া ক্লাইব, নবাবকে পত্ৰ দিয়াছিলেন,-“পাঠানদিগের আগ মন সংবাদ সত্য হইলে, আমরা সসৈন্যে আপনার সহিত যোগ দিব; আপাততঃ চন্দননগর পর্য্যন্ত অগ্রসর হইয়া থাকিব । অতঃপর কলিকাতার নিকট হইতে ছাউনী উঠাইয়া সৈন্যদলকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইবার আদেশ দেওয়া হইল। তখনও নবাবের সম্মতি না হইলে, ধৰ্ম্মভীরু ( ) ওয়াটসন আক্রমণে অসম্মত । দেয় টাকার জন্য অনুযোগ করিয়া ভয় দেখাইয় নবাবকে পত্র লেখা হইল : তাহাতেও কার্য্যোদ্ধার হয় না হয় চিন্তা করিয়া ‘চন্দননগরস্থ ফরাসীপক্ষের সন্ধিপত্রে স্বীকার করিবার ক্ষমতা নাই, তাহদের প্রধান কর্তৃপক্ষ তাহতে বাধ্য নন, ইত্যাদি বলিয়া অমিচাদ ও ওয়াটসনের দ্বারা দরবারে তদবির হইতে লাগিল । সিরাজুদৌল। এই সময়ে পাঠানগণের আগমন আশঙ্কা করিতেছিলেন। ইংরেজেপক্ষ হইতে উক্ত ভাবের কৌশল কেটল্যপূর্ণ পত্রে বিব্রত হইয়া, তিনি নিম্নলিখিত ভাবে উত্তর লিথিয়া পঠাইলেন । - ( ১০ই মার্চ, ১৭৫৭ ) "আপনি লিখিয়াছেন, আমার পত্র-প্রাপ্তির পর, আপনাদের সমস্ত সন্দেহ তিরোহিত হইয়াছে। চন্দননগর আক্রমণের কল্পনা ত্যাগ করিয়া ফরাসিগণের সহিত সন্ধির সমস্ত লেখাপড়াও শেষ হইয়াছিল, কিন্তু ফরাসী-কর্তৃপক্ষগণ এই সন্ধির মৰ্ম্ম পালন করিবেন কি না নিশ্চয়ত নাই। এক জন ফরাসী যাহতে স্বাক্ষর করিয়াছে, অন্যে যদি তাহ অন্যথা করে, তাহা হইলে তাহাদিগকে আর কিরূপে বিশ্বাস করা যায় ? অামার রাজ্যে যুদ্ধ-কলহ নিষেধ করিবার কারণ এই যে ফরাসিগণ আমার প্রজা ও এই বিষয়ে আমার শরণাগত । তজ্জন্যই আমি সন্ধি করিতে বলিয়ছিলাম ? তাহাদিগকে অনুগ্রহ দেখাইব, বা সহায়তা করিব, এমন অভিপ্রায় ছিল না। আপনি এক জন বিচক্ষণ সদাশয় লোক, বিবেচনা করিয়া দেখুন, পরম শত্রু ও শরণাগত হইলে তাহাকে আশ্রয় দেন কি না ? তাছার সরলতায় সন্দেহ ন হইলে আপনি ও তাহাকে দয়া করেন। সারল্যে সন্দেহের কারণ থাকিলে, সে স্বতন্ত্র কথা ;