পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায়। —: ++--- ষড়যন্ত্ৰ । —o ইংরেজ ও মীরজাফর । ইংরেজপক্ষের সহিত সন্ধিবন্ধন করিয়া রাজধানীতে প্রত্যাবর্তনের পর, সিরাজুদ্দৌলা ও প্রবীণ মন্ত্রিদলের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সন্দেহ ও অবিশ্বাস দৃঢ়তর হইল। অন্যতম সেনানায়ক দোস্ত মহম্মদ খা নৈশষুদ্ধে আহত হইয়াছিলেন ; তিনি এক্ষণে নিরাপদে দূরে থাকিবার অভিপ্রায়ে কিয়ংকালের মত বিদায় লইয়া সাসেরাম গমন করিলেন। (১) মীরজাফর খা ইতিপূৰ্ব্বে প্রধান সেনাপতির কার্য্যে নিয়োজিত হইয়া কথঞ্চিৎ সস্তুষ্ট ছিলেন । বিগত কলিকাতা যাত্রার সময়ে তিনিই অগ্রগামী সৈন্যদলের অধিনায়ক ; অগ্রদ্বীপ হইতে ইংরেজের চন্দননগর আক্রমণের আয়োজন শুনিয়া, সিরাজুদ্দৌলা তাহাকেই অৰ্দ্ধাংশ সৈন্তসহ পুনঃপ্রেরণের ব্যবস্থা করিতেছিলেন। সন্ধিস্থাপনে তিনি ইংরেজের অনুকুল বলিয়া, এক্ষণে র্তাহার বিরুদ্ধপক্ষ পুনরায় নবাবের মনে বিরাগ জন্মাইয়৷ দিলেন। মীরজাফর চিরদিনই দুৰ্ব্বলচিত্ত লোক ; কিয়ৎপরিমাণে ইংরেজপক্ষের আনুকুলা করিয়া জগৎশেঠের মনস্তুষ্টর চেষ্টা করিলেও, মীরজাফর তখন পৰ্য্যন্ত নবাবের বিরুদ্ধাচরণ করেন নাই। তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করিলে, নৈশ আক্রমণে সিরাজ সহজেই ইংরেজ-হস্তে বন্দীভূত হইতেন। যাহা হউক, অতঃপর তিনি দরবারে আগমন বন্ধ করিলেন । অপরিণামদর্শী সিরাজ এ সময়ে পুনরায় জগৎশেঠের প্রতি বিদ্রুপ ও অপমানবাক্য প্রয়োগ আরম্ভ করিলেন ; কখনও বা ত্বকচ্ছেদ করিবার ভয়প্রদর্শনও হইত। ( ২ ) রাজ। দুর্লভরাম মোহনলালের কর্তৃত্ব কোনক্রমেই সহ করিবেন না, এজন্য সৈন্যদল সহ নগর হইতে দূরে অবস্থানই তাহার অভিপ্রেত হইল। মীরজাফর ও দুর্লভরামই তৎকালে প্রধান সেনানায়ক, ইংরেজ-হস্তে অবমাননা সহ করার পরে তাহদের প্রতি সিরাজের স্বতঃই সন্দেহ হইবার কথা। সন্দেহের কারণও ছিল না, এমন ( ১ ) মুতাক্ষরীণ । ( ) মুতাক্ষরীণ ( ১ ) ৭৫৮-৫৯ ৷