পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- | চক্রান্ত | *○○ গীয় সম্ভবতঃ কিছুই থাকিত না। তিনি এক হস্তে সিরাজুদ্দৌলাকে লিখিত পত্রে লিখিতেছেন, “আমাদের মধ্যে যে পূর্ণ-মৈত্রী ও সৌহৃদ্য স্থাপিত হইয়াছে’, আবার সেই লোক সঙ্গে ওয়াটসকে লিখিয়াছেন, ‘নবাব অতি দুষ্ট লোক তাহাকে বিশ্বাস নাই ; তাহাকে রাজ্যচ্যুত করিতেই হইবে, নতুবা আমাদের পতন সম্ভব। অন্তত দেয় টাকা সম্বন্ধে মীরজাফরের বদান্যতা এবং তোমার ও অমিচাঁদের ব্যবস্থার উপর নির্ভর করি’, ‘নবাবকে মিষ্টভাবে তুষ্ট করিয়া পত্র দিয়াছি, তোমার পরামর্শমত অদ্য তাহাকে ও মোহনলালকে আরও এক এক খানি ঐ ভাবে পত্র দিতেছি। সন্দেহ নিরসনের জন্য কামান প্রভৃতি কলিকাতায় পাঠাইবার ব্যবস্থা করিতেছি ; সংবাদ পাইবার ১২ ঘণ্টা মধ্যেই সমস্ত সৈন্য সমবেত করিয়া প্রস্তুত হইব’ ইত্যাদি। হয়ত কেহ কেহ বলিবেন, রাজনীতিক্ষেত্রে এসব আবশুক । ১৯শে মে তারিখে সন্ধিপত্র দুই খানি মুর্শিদাবাদে প্রেরিত হইল,—কিন্তু ইতিমধ্যে হয় বিশেষ সংবাদ পাইয়া, না হয় অন্য কোন কারণে নবাবের রাজকোষে ঐ পরিমাণ অর্থ না থাকিতে পারে এই সন্দেহ করিয়া ক্লাইব ওয়াটস সাহেবকে গোপনে লিখিয়া পাঠাইলেন, মীরজাফর খাঁ যদি এত টাকা অঙ্গীকার করিতে ইতস্ততঃ করেন, তবে কোম্পানীর কোটী, ৫০ লক্ষে নামাইতে পারেন। এই সময়ে মহারাষ্ট্ৰীয় পেশোয় বাজীরাওয়ের নিকট হইতে ড্রেক্ সাহেবের নামে পত্র লইয়া গোবিন্দরাম নামক এক জন দূত কলিকাতায় আইসে। ইংরেজগণের সম্মতি পাইলে মহারাষ্ট্রীয়গণ এক লক্ষ কুড়ি হাজার অশ্বারোহী সহ বাঙ্গলা লুণ্ঠনে আসিতে পারেন—এই তাহদের পত্রের মৰ্ম্ম । ( ১ ) ইংরেজের সহিত মারাঠার তখন বড় একটা সম্বন্ধ ছিল না ; পত্রবাহক ও সামান্য ব্যক্তি, এ জন্য এই গোপনীয় পত্রে সন্দেহ হইল। ওয়াটস সাহেবকে পরামর্শ জিজ্ঞাসায় তিনি বলিয়। পাঠাইলেন, ইহ নবাবের কৌশলও হইতে পারে । এই সমস্তায় ক্লাইব স্থির করিলেন, পত্র খানি নবাবের নিকট পাঠাইয়া দেওয়াই বিধেয়। কারণ, যদি তিনিই এ কৌশল উদ্ভাবন করিয়া থাকেন, তবে এইরূপে ইংরেজপক্ষের সরলতার অকাট্য প্রমাণ পাইরা নিশ্চয়ই প্রতারিত হইবেন। পত্র সহ ক্রাফটন সাহেব মুর্শিদাবাদে প্রেরিত হইলেন। তিনি পথিমধ্যে পলাশীতে মীরজাফরের ( ; ) Long's Record & Orme, Ballaji Rao's Letter,