পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- || সিরাজ ও মীরজাফর । ミとQ পাঠাইস ওয়াটসের নিকট হইতে সন্ধিপত্র দুই খানি আনীত হইল। রাজ দুলভিরাম সমস্ত কথা অবগত হইয়া বলিলেন, নবাবের রাজকোনে এত অর্থ নাই। ভাবী নবাব ও ইংরেজ, রাজকোষের সমস্ত টাকা সমান ভাগ করিয়া লইবেন, এইরূপ সৰ্ব থাকাই দ্যায়সঙ্গত । ওয়াটুস প্রার্থিত টাকা কমাইতে পারিলেন না ; শেষে রাজাই খাজাঞ্চীখানার কর্তা, টাকা ভাগ করিবার সময় তিনি ইংরেজপক্ষের প্রাপ্য হইতে সাধারণ নিয়ম অনুসারে শতকরা ৫ টাকা পাইবেন এই প্রস্তাবে আর রাজা-বাহাদুরের আপত্তি রহিল না। প্রকৃত কথা, রাজকোষের অর্থ সম্বন্ধে কোন পক্ষের বড় একটা ধারণা ছিল না। ইংরেজগণের সাহায্য প্রাপ্তির প্রয়োজন, টাকার কথা মীরজাফর বিশেষ অনুধাবনই করেন নাই। মুসলমান আমীর-ওমরাহুগণ চিরকাল অর্থ সম্বন্ধে উদাসীন, তাহাতে আবার অন্তের টাকা। যাহা হউক, এক্ষণে সকলের সম্মতিক্রমে সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হইল, ( ৪ঠা জুন ১৭৫৭ )। ঐ দিন নবাব, মীরজাফর থাকে সেনাপতিত্ব পদ ত্যাগ করিয়া খাজা হাদীকে ঐ সেরেস্তার কার্য্য বুঝাইয়া দিবার আজ্ঞা দিলেন। এখনও তিনি চক্রান্তের সন্ধান পান নাই ; সিরাজ ও তাহার পরামর্শদাতৃগণ তখনও স্বযুপ্তির ক্রোড়ে ! সাধারণ সন্ধিপত্রের বাঙ্গলা অনুবাদ নিয়ে প্রদত্ত হইতেছে — ঈশ্বর এবং পয়গম্বরের নামে শপথ করির প্রতিজ্ঞ করিতেছি, যত দিন আমি জীবিত থাকিব, এই সন্ধিপত্রের নিয়ম পালন করিব । ( এইটি মীরজাফর খাঁর স্বহস্তে লিখিত ও নীচে স্বাক্ষরযুক্ত )। পরবর্তী দফাগুলি লেখকের। (১) “নবাব সিরাজুদ্দৌলার সহিত যে সন্ধিপত্র স্থিরীকৃত হইয়াছে, “তাহার সমস্ত সৰ্ব পালন করিতে আমি সম্মত। (২) “দেশীয় বা ইউরোপীয় যে কেহ ইংরেজের শত্ৰু, সেই আমারও 조F | (৩) “স্বর্গের তুল্য ( জিন্নেত-উল-বেলাং ) এই বঙ্গভূমিতে এবং বিহার ও উড়িষ্যার মধ্যে ফরাসিগণের যে সমস্ত সম্পত্তি ও কুঠা আছে, তাহ *ইংরেজগণের অধিকারে আসিবে। ফরাসীকে আর এ দেশে বাস করিতে “দিব না । ( a ) ‘সিরাজুদ্দৌলার কলিকাতা অধিকার ও লুণ্ঠন জন্ত কোম্পানীর OS