পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| মীরজাফরের পত্র। ૨ ૧૪ মজুত ছিল, তাহাতে দশ সহস্ৰ লোকের এক বৎসরকাল উদরপূৰ্ত্তি হয়। ইংরেজ-সৈন্যের সমগ্ৰ ভাগ সন্ধ্যার সময় কাটেীয়া পহুছিয়া প্রথমে ময়দানে শিবিরসন্নিবেশ করিল ; কিন্তু পর দিন ভয়ানক বৃষ্টি হওয়ায়, নগরের গৃহগুলি অধিকার করিয়া থাকিতে হইয়াছিল । এ দিকে চন্দননগর হইতে নিষ্ক্রান্ত হওয়ার পরে, প্রতিদিন ক্লাইব মীরজাফর থাকে পত্র লিখিতেছিলেন। ১৭ই তারিখে কেবল একখানির উত্তর পাইলেন। মীরজাফর নবাবের সহিত মৌখিক সন্মিলন করিতে বাধ্য হইয়াছেন ও ইংরেজগণকে সাহায্য করিব না, প্রতিশ্রুত হইয়াছেন ; কিন্তু ইংরেজের সহিত প্রতিজ্ঞাপত্র-অনুসারেই কাৰ্য্য করিবেন, এই মৰ্ম্মে পত্র লিপিত হয়। সন্দেহ হইল, পাছে মীরজাফর প্রতারণা করেন ও শেষে নবাবের সঙ্গেই যোগ দেন ; এই সন্দেহে দুই দিন ধরিয়া ক্লাইবের মন অন্দোলিত হইল। ২০শে ওয়াটস সাহেবের লোক ফিরিয়া আসিয়া বলিল, সে মীরজাফর ও র্তাহার পুত্র মীরণের সমক্ষে উপনীত হইয়া কথোপকথন আরম্ভ করবে, এমন সময়ে কতকগুলি লোক সেখানে আসিল, তাহারা হয় ত নবাবের অনুচর, তাহাদের সমক্ষে মীরণ গুপ্তচর বলিয়া, তাহার শিরচ্ছেদের ভয় দেখাইলেন ও বলিলেন, ইংরেজগণ নদী পার হইয়া আসিলে, তাহাদের সংহার করিব।” এ কথায় কিছুই ফল হইল না। উত্তরোত্তর ছশ্চিন্তা প্রবল ও সন্দেহ ঘনীভূত হইতে লাগিল। সহসা কৰ্ত্তব্য স্থির করিয়া উঠিতে পারিলেন না। এই সময়ের কথাই স্মরণ করিয়া, ক্লাইব উত্তরকালে মহাসভায় সাক্ষ্য দিবার সময়ে বলিয়াছেন, তখন মনে হইয়াছিল, যদি পরাস্ত হই, তবে এক জনও সেই পরাজয়কাহিনী বহন করিয়া প্রত্যাগত হইবে না। ঐ দিন প্রদোষে মীরজাফর খরি ১৯শে তারিখের এক পত্র পাইলেন, তাহাতে উল্লেখ ছিল, 'জাফর খাঁ ঐ দিন নগর হইতে যাত্রা করিতেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে হয় দক্ষিণে বা বামে তাহার শিবির থাকিবে, দেখান হইতে সৰ্ব্বদা সংবাদ দিবেন। চতুর্দিকে প্রহরী স্থাপিত হইয়াছে, প্রকাশ হইবার ভয়ে এ পর্যন্ত রীতিমত সংবাদ দিতে পারেন নাই । এই সঙ্গে আমিরবেগকে এক খানি পত্র লিখিত হয়, তাহাতে নবাবের সহিত মিলনের কথা ও সৈন্যের অবস্থামাত্র বর্ণিত ছিল। এই পত্রে মীরজাফরের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার সন্দেহ অপসারিত হইল বটে, কিন্তু ইহাতে তাহার নিজের উদ্দেশু বা ইংরেজ-সৈন্যের কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে কোনই উপদেশ ছিল না ; এ জন্য তিনি কি ভাবে চলিবেন, না বুঝিয়া দুশ্চিন্তা দূর হইল না। অশ্বারোহী সৈন্যের