পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- || যুদ্ধ যাত্রা । সাক্ষ্য দিবার সময়ে বলিয়াছেন, ‘সভাভঙ্গের পর ২৪ ঘণ্টা কাল চিস্ত করিয়৷ তিনি নিজেই কাউন্সিলের মতের বিরুদ্ধে কার্যা করেন। মীরজাফর থ' এই পত্রে লিথিয়ছিলেন, ‘নবাব মনক রায় আসিয়া পহুছিয়াছেন, ঐ খানেই গড়খাত করিয়া যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করিবেন । ইংরেজগণ ঘুরিয়া আসিয়া যেন হঠাৎ আক্রমণ করেন। ক্লাইনের উত্তর এইরূপ বলিয়৷ কথিত আছে, তিনি পলাশী পৰ্য্যন্ত শীঘ্রই যাইতেছেন, তৎপরে দাদপুর পর্য্যন্ত গেলে যদি মীরজাফর ধর্ণ যোগ না দেন, তবে তিনি নবাবের সহিত সন্ধি করিবেন।’ ( ১ ) এ দিকে মীরজাফরের সহিত পুনর্মিলনের উদ্যোগের পরেই সিরাজুদ্দৌলা সংবাদ পাইলেন, ইংরেজ-সৈন্ত যুদ্ধযাত্রা করিয়াছে। অবিলম্বে ক্লাইবের শেষ পত্র ও আসিয়া পহছিল। সৈন্ত সমবেত করিবার জন্ত দলপতিগণের উপর আদেশ হইল। কলিকাতা আক্রমণের মত এ যুদ্ধে লুণ্ঠনের কোন আশা নাই ; উপরন্তু গৃহবিবাদ বৰ্ত্তমান । সৈন্তগণ এ অবস্থায় প্রাপ্য বেতন না পাইলে যুদ্ধযাত্রা করিতে অসম্মত হইল। তিন দিন ধরিয়া এই গোলযোগ চলিল ; নবাবকে প্রচুর অর্থ দান করিয়া তাহাদিগকে সন্তুষ্ট করিতে বাধ্য হইতে হইল। অতঃপর প্রধান প্রধান সেনাপতিগণের অধীনতায় বিভক্ত হইয়া, নবাববাহিনী পলাশী প্রাঙ্গণের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল। একবার মনকরায় যুদ্ধসজ্জা করা সিরাজের অভিপ্রায় হইয়াছিল ; পরে পলাশীযাত্রাই স্থিরীকৃত হয়। ( 3 ) Orme II. 171. 본)