পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*"b" বাঙ্গলার ইতিহাস । | “তজষ্ঠ চিন্তা নাই, আমি তাহার ব্যবস্থা করিব, শক্রপক্ষ রাত্ৰিযোগে আক্রমণ o - * করিবে না।” নবাব ক্রমেই ভয়বিহ্বল হইয়া পড়িলেন। মোহনলাল এই সময়ে অমিতবিক্রমে শক্র-সৈন্তের দিকে অগ্রসর হইতেছিলেন। তাহার পদাতিক দল সেনাপতির সাহসে উৎসাহিত হইয়া ক্রমাগত অগ্নিবৃষ্টি করিতেছিল। সিনফ্রের আগ্ন্যোস্ত্রে ইংরেজদলের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন হইতেছিল ; ফরাসী গোলন্দাজদল প্রতিহিংসা-প্রোৎসাহিত হইয়া প্রাণপণে কাৰ্য্য করিতেছিল, এমন সময়ে মোহনলাল শিবিরে প্রত্যাগত হইবার আদেশ পাইলেন। তিনি বলিয়া পাঠাইলেন, “এ প্রত্যাগমনের সময় নহে ; যুদ্ধ যে অবস্থায় দাড়াইয়াছে, তাহাতে যাহা হইবার তাহ এখনই হইবে ; এ সময়ে আমি পশ্চাদগমন করিয়া শিবিরে প্রত্যাগত হইবার উদ্যোগ করিলে, সৈন্তগণ ছত্রভঙ্গ হইয় পড়িবে, হয় ত পলায়নপর হইবে।” সিরাজুদ্দৌলা মীরজাফর খার দিকে দৃষ্টি করিলেন, তিনি এখনও নবাব শিবিরে। মীরজাফর উত্তর করিলেন, আমি যাহা ভাল বোধ হয় বলিয়াছ, আপনি স্বয়ং এখন কর্তব্য অবধারণ করুন ? ( ১ ) তাহার গম্ভীর ভাব অবলোকনে সিরাজ ভয়চকিত এবং নিজের সহজ জ্ঞান বিষ্কৃত হইয়া, সেনাপতির পূর্বপ্রস্তাবমত মোহনলালকে বারংবার নিষেধাজ্ঞা পাঠাইতে লাগিলেন। এ দিকে স্বদলে প্রত্যাগত হইয়াই মীরজাফর ক্লাইবকে পত্র লিখিলেন,— তৎক্ষণাৎ শিবির আক্রমণ করিবেন ; নিতান্ত সুযোগ না ঘটে, রাত্ৰিযোগে আক্রমণ করিলেই কাৰ্য্য শেষ হইবে। ( ২ ) মীরজাফর খাঁ নিজ শিবিরে প্রত্যাগত হইলে, নবাব আরও বিব্রত হইলেন। রাজা জুল ভরামকে ডাকিয়া পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিলেন ; মন্ত্রী পরামর্শ দিলেন, সৈন্তগণ শিবিরে প্রত্যাবৃত্ত হউক, আপনি রাজধানী যাত্র করুন। (৩) বীরপ্রবর মোহনলাল বারংবার প্রত্যাবর্তনের আদেশ পাইয়া নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও পশ্চাতে হটিতে আরম্ভ করিলেন। সেনাপতির প্রত্যাবর্তনে সৈন্তগণ ভয়চকিত হইল ; অন্ত দিকে চক্রান্তকারিদলের সৈন্তবর্গের মধ্যে অনেকে পলায়ন করিতেছে দেখিয়া, এ দলের সৈন্তের ও সাহস ভঙ্গ হইল। যে যে দিকে পাইল, পলায়ন আরম্ভ করিল। এ পলায়ন নিলাজ ভাবে বৃদ্ধি পাইতেছিল, কেহ পশ্চাদ্ধাবন করিতেছে ( ১ ) Mut 1. 760. অন্য ইতিহাসে মীরজাফরের পরামর্শ নাই। S LLLLLL LLS 000SSSSBB BBBS BBBBB BBBBB BBBBD DD BBBB হইতে সাহসী হয় নাই । ( o ) Orme II. |