পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిం సి বাঙ্গলার ইতিহাস । ১৪শ অঃ অব্যবস্থিতচিত্ত সিরাজুদ্দৌলার অপব্যবহারে মীরজাফর ও রাজা ভুল ভরাম - পরম্পর বন্ধুত্বস্থত্রে আবদ্ধ হন ; পরম্পরের স্বার্থই উভয়কে ক্রমশঃ বিশিষ্টরূপে আকর্ষণ করিতে থাকে। কিন্তু চোরে চোরে কুটুম্বিতা’ কয়দিন স্থির থাকে ? . মীরজাফরের সিংহাসনপ্রাপ্তির পরে জুল ভরাম নিজের বিশেষ কোন লাভ দেখিলেন না ; স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী বা পুত্র ও সহোদরগণ উচ্চকাৰ্য্যে প্রতিষ্ঠিত হইলেও তাহার অদ্বিতীয় প্রভূত্ব চলিল না। স্বীয় প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখিবার জন্ত মন্ত্রিবর এক্ষণে নানা মন্ত্রণা জালবিস্তার আরম্ভ করিলেন। মীরজাফর ও স্বজনবর্গের পরামর্শে মন্ত্রিবরের কার্য্যে সন্দিহান হইয়া পড়িলেন ; ক্রমে এই সন্দেহ তাহাকে ভ্রান্ত সিদ্ধান্তে ও উপনীত করিল। স্বার্থের বন্ধনে সম্মিলিত ষড়যন্ত্রকারিদলের পরম্পরের দশ চিরদিন ইহাই হইয়া থাকে। মীরজাফরের পক্ষ হইতে অত্যন্ত্রকালমধ্যেই জনরব উঠিল, রাজা জুল ভরাম প্রধান প্রধান হিন্দুকৰ্ম্মচারিগণের সহিত মিলিত হইয়া মীরজাফরকে অপদস্থ ও রাজ্যচ্যুত করিবার আয়োজন করিতেছেন ; এই জনরবে বিশ্বাস করিবার গুরুতর কারণও উপস্থিত হইয়াছিল। বিহারে রাজা রামনারায়ণ তখনও নুতন নবাবের নিকট প্রকৃত প্রস্তাবে বহুত স্বীকার করেন নাই। পক্ষান্তরে ক্লাইবের কলিকাতা প্রস্থানের পূৰ্ব্বে মেদিনীপুরেয় ফৌজদার ও চরাধিপতি রাজারাম সিংহকে হিসাব নিকাশের জন্য মুর্শিদাবাদে আসিতে আদেশ দেওয়া হয়। রাজারাম সিরাজের অনুগত ছিলেন। এত শীঘ্ৰ উক্তরূপ আদেশ পাইয়া তিনি কিঞ্চিং ক্রস্ত হইলেন, এবং তজ্জন্ত স্বয়ং উপস্থিত না হইয়া দুইজন আত্মীয়কে রাজধানী প্রেরণ করিলেন। রাজা লাভ ৷ রামের সহিত রাজারামের ঘনিষ্ঠত ছিল ; জুল ভরাম, নবাবের সহিত প্রকাতে সদ্ভাব রাখিবার জন্য রাজারামকে স্বয়ং অসিতে অনুরোধ করিয়াছেন, মীরজাফরের ইহা অজ্ঞাত ছিল না । ( ১ ) এই কারণে বিপরীত সন্দেহে রাজারামের আত্মীয়দ্বয়কে রাজধানীতে নজরবন্দী রাখা হইল। তৎপরে রাজারাম সম্বন্ধে ক্লাইবের পত্রের উত্তরে লেখা হইল, রাজারাম চিরদিন ইংরেজপক্ষের 髻 - বিপ্লবের সময় বিপক্ষের সাহায্য করিয়াছেন, তাহারই যোগে সিরাজ ফরাসীর নিকট পত্রাদি পাঠাইতেন, এবং তিনি কতকগুলি ফরাসীকে নিরাপদে বাঙ্গল হইতে প্রস্থানের সহায়তাও করিয়াছেন। রাজারাম সিংহ আত্মীয়দ্বয়ের কারারুদ্ধ হওয়ার সংবাদ পাইয়া নিজ সৈন্যসামন্ত সংগ্ৰহ করিয়া ক্লাইবকে ( 3 ) Orme. II, 268.