পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: || যুদ্ধযাত্রা ও ব্যবস্থা । S) ο (ζ করিয়াছে। এই সঙ্গে নগরে প্রথম প্রকাশ হইয়াছিল যে, আলিবর্দী-বেগম ও সিরাজ-জননী আমেনা ও নিহত হইয়াছেন ; কিন্তু ইহাদিগকে ঢাকায় প্রেরণ করা হইয়াছিল। মীরজাফর বলিলেন, তিনি এই ঘটনার বাপমাত্রও অবগত নহেন ! ( ১ ) নিরপরাধ বালকের হত্যাকাণ্ডে লোকে স্তম্ভিত হইল যাহা হউক, অতঃপর ফ্রাফটনের উদ্যোগে দুৰ্লভরাম ও মীরণের মধ্যে পুনরায় ঐক্যস্থাপন হইল। দুর্লভরামও এক্ষণে আপন সৈন্যদলের অধিকাংশকে নবাবশিবিরে যাইবার অনুমতি দিলেন। মীরজাফর ১৭ই নবেম্বর তারিখে সদলে রাজমহলের দিকে যাত্র করিলেন। এই দিনে ক্লাইব ও সসৈন্তে চন্দননগর হইতে মুর্শিদাবাদ যাত্রা করিয়াছিলেন। ইতিপূৰ্ব্বে পত্রদ্বার রানরাম সিংহকে মেদিনীপুর হইতে নিকটে আনয়ন করেন ; নবাব সেনানী খাজা হাদী এক্ষণে বৰ্দ্ধমান হইতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন । মুর্শিদাবাদে পহুছিয়া ক্লাইব দেখিলেন, পুনরায় দেখানে জনরব উঠিয়াছে যে, জলভরাম মহারাষ্ট্রর দলপতি জানজার সহিত ষড়যন্ত্র করিতেছেন। মীরণ ক্লাইবের আগমনের পূৰ্ব্বেই রামরাম সিংহের আত্মীয়দ্বয়কে কারামুক্ত করিয়াছিলেন, এক্ষণে ক্লাইবকে স্বাগতসন্তাষণে আপ্যায়িত করলেন। রাজা দুর্লভরামের মনোভাব জ্ঞাত হইয়া সকলকে সান্থনা করিয়া ক্লাইব রাজমহলে নবাব সৈন্তের সহিত মিলিত হইলেন। নবাব ইংরেজ সৈন্তদলে দশ সহস্র মুদ্র পুরস্কার দিলেন। ইতিমধ্যে মীরজাফর রাজমহল হইতে খাদেম্ হোসেন খাকে পূর্ণিয়ার ফৌজদার নিযুক্ত করিয়া প্রেরণ করিয়াছিলেন । সমগ্র নবাব-সৈন্তের আগমনসংবাদেই বিদ্রোহিদল সচকিত হইয়াছিল ; এক্ষণে অল্পায়াসেই খাদেম হোসেন বিদ্রোহ দমন করিলেন। কিন্তু আত্মোদর পূরণ জন্ত পূর্ণিয়ার অধিবাসিগণের উপরে সমধিক অত্যাচার করায় তাহার প্রতি কাহারও শ্রদ্ধার সঞ্চার হইল না । সৰ্ব্বত্র এইরূপে বিদ্রোহের উপশম হওয়ায় মীরজাফর খা এক্ষণে পাটনা যাত্রার প্রস্তাব করিলেন। ক্লাইব সময় পাইয়া বলিয়া বসিলেন, পূৰ্ব্বপ্রতিএত টাকা না দিলে কিরূপে যাওয়া ঘটে ? ( ২ ) দেওয়ান রাজা দুর্লভরাম ন হইলে রাজকোষ হইতে অর্থপ্রদান বা বরাতচিঠী বাহির হওয়া অসম্ভব, ( ) গোলাম হোসেন এ স্থলে মীরজাফরকেও লিপ্ত বলিয়ছেন। ক্লাইবের সাক্ষ্যেও এইরূপ নির্দেশ আছে। (*) Orme II. 275-76. "సె