পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○b- বাঙ্গলার ইতিহাস । 를 학: || স্থবাদারী সনন্দ আসিল এবং ক্লাইবের ছয় হাজারী মনসবদারী ও ওমর পদবী প্রাপ্তি হইল। ১৫ই মে সসৈন্তে নবাব ও ক্লাইব মুর্শিদাবাদে পহুছিলেন । এই সময়ে ংবাদ আসিল যে, ফরাসীর যুদ্ধজাহাজ আসিয়াছে এবং মান্দ্রাজ উপকূলে ইংরেজগণের সহিত র্তাহাদের সামান্তমত একটা যুদ্ধ হইয়া গিয়াছে। ইংরেজপক্ষের ইহাতে বিশেষ কোন জয়লাভ হয় নাই ; ঘটনাক্রমে একখানি ফরাসী জাহাজ ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল । অথচ ক্লাইব প্রকাশ করিয়া দিলেন, “প্রকাও নৌ-যুদ্ধ হইয়াছে, ইংরেজপক্ষ সম্পূর্ণ জয়ী হইয়াছেন, ফরাসীর দুইখানি জাহাজ ডুবিয়া গিয়াছে এবং অবশিষ্ট প্রাণ লইয়া, পলায়ন করিয়াছে।” ফরাসীগণের আর কোনই আশা নাই, ইত্যাদি। ( ) এদিকে নবাব-সৈন্যের পাটনাযাত্রার পরে মুর্শিদাবাদ সহরে নানাপ্রকার জনরব উঠিয়াছিল। কেহ বলিল, রামনারায়ণ সাক্ষাৎ করিতে আসিলে নবাবের অজ্ঞায় নিহত হইয়াছেন, কেহ বা বলিল, রাজা সুন্দর সিংহ রাজ দুলভিরামের প্ররোচনার নবাবকে হত্যা করিয়াছেন। নিৰ্ব্বোধ মীরণ সব কথাই বিশ্বাস করিয়া সৈন্যসামন্ত সমবেত করিয়া হুলস্থল বাধাইয়াছিল। পুনরায় ক্লাইব ও ভুল ভরামের প্রত্যাগমনের সংবাদে ভাবী আশঙ্কায় ব্যাকুল হইয়া সৈন্য সহ নগর হইতে পিতার সহিত যোগ দিতে যাওয়ার উদ্যম করিয়া নীরণ এক মহা গোল বাধাইয়াছিল। ইহাতে ক্লাইবের উপরে ও সন্দেহ বলিয়৷ কাইব নবাবকে কিঞ্চিৎ ক্রোধের সহিত মীরণের মূখ তাবিষয়ে এক পত্র প্রেরণ করিলেন । মীরণ ক্ষমাপ্রার্থনা ও ক্রট স্বীকার করায় সমস্ত গোল মিটয়া গেল । ইতিমধ্যে বিলাত হইতে কোম্পানীর ডিরেক্টরগণের আদেশপত্ৰ আসিয়াছে শুনিয়া ক্লাইব ব্যস্ত হইয়া কলিকাতায় গেলেন। পূৰ্ব্বে সিরাজুদ্দৌলার কলিকাতা আক্রমণের সংবাদ পাইয়। ডিরেক্টরগণ পাঁচ জন মেস্বরকে কলিকাতার কর্তৃত্বভার দিয়া এবং ক্লাইবকে তাহার সভাপতি মনোনীত করিয়া পত্র দেন, কিন্তু সে পত্র পহুছিবার পূৰ্ব্বেই তাহদের দ্বিতীয় ত্ৰ ২০ জুন তারিখে কলিকাতায় পহুছিয়ছিল। ইহাতে ড্রেক্ সাহেবকে পদচ্যুত করিয়া দশ জন সভ্য মনোনীত করা হয় ; তন্মধ্যে প্রবীণ চারিজন পালাক্রমে তিন মাস করিয়া সভাপতি থাকিবেন এইরূপ নিদিষ্ট ছিল। কর্তৃত্বের এইরূপ গোল হইলে এ অবস্থায় কাৰ্য্য চলে না। তাহাতে কাইব এখন সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা, নবাবের নিকট ( 3 ) Orme II. 353.