পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বজ ও আরঙ্গজেব। ミ> আসিল, তখন পুনরায় সুজার রাজ্যলাভলালসা জাগিয়া উঠিল। কিন্তু প্রতিভাশালী আরঙ্গজেবের সহিত প্রতিযোগিতায় তিনি পরাস্ত হইলেন । মীরজুমা কর্তৃক তাড়িত হইয়া সুজা আরাকান প্রদেশে আশ্রয় লইলেন। প্রবাদ এই যে, নানা চক্রান্তের পর আরাকানরাজের আদেশে তাহাকে জলমগ্ন করিয়া নিহত করা হয় ; সেখানে সুজার পরিবারবর্গের ও দুর্দশার একশেষ হইয়াছিল। সেনাপতি নীরজুন্না শাসনকৌশল অপেক্ষ যুদ্ধকৌশলেই অধিকতর অভিজ্ঞ ছিলেন, সুতরাং তাহার সময়ে দেশে শান্তি বা সুশাসনপ্রতিষ্ঠার বিশেষ কোন উদ্যোগই হয় নাই । চতুরচুড়ামণি আরঙ্গজেবের মন্ত্রশিষ্য সুদক্ষ শায়েস্তা খার আমলে বঙ্গে মোগল অধিকারের দৃঢ়প্রতিষ্ঠার সহিত সাৰ্ব্বাঙ্গীন শাস্তি সংস্থাপিত হইয়াছিল । কিন্তু সেকালে রাজশক্তি ও প্রতাপ ব্যক্তিগত ছিল বলিয়া অস্বর্থনামা শায়েস্তা খার অন্তৰ্দ্ধানের সঙ্গে সঙ্গেই শনৈঃ শনৈঃ অশান্তির সঞ্চার হইতে লাগিল। বিজয়লালসায় অন্ধ হইয়া বাদশা আরঙ্গজেব যখন দক্ষিণপথে যুগব্যাপী যুদ্ধ লইয়া বিব্রত, কূটনীতির পরিচালনায় কখনও দক্ষিণপথের মুসলমান রাজগণের কখনও বা নব উদ্দীপনায় উদ্দীপিত মহারাষ্ট্রমূষিকের বিনাশচেষ্টায় বদ্ধপরিকর হইয়া শেষে স্বকীয় উর্ণনাভজালে নিজেই জড়িত হুইতেছিলেন, সেই সময়েই অবসর বুঝিয়া প্রত্যন্ত প্রদেশগুলি একে একে স্বাধীনতালাভের আয়োজন করিতেছিল। সুদূর পশ্চিমে কান্দাহার, বদাকশান প্রভৃতি শীঘ্রই হস্তচু্যত হইল ; অন্তরও ভিতরে ভিতরে বিপ্লববছি প্রধূমিত হইতে দেখা গেল। বাদশাহ পিতৃপিতামহের সঞ্চিত প্রচুর অর্থ সহ সমীচীন রাজনীতি রসাতলে দিয়া রাজ্যের প্রত্যেক শিরা পৰ্য্যন্ত শোষণ করিতেছিলেন ; সুতরাং বিশাল মোগল সাম্রাজ্য অন্তঃসারশূন্ত হইয়। পড়িতেছিল। চতুর্দিকেই ক্রমে বিদ্রোহ ও বিপ্লবের স্বচনা দৃষ্ট হইতেছিল। বাঙ্গলায় এ কালের বিদ্রোহের অধিনায়ক বদ্ধমান প্রদেশের একজন সামান্ত ভূম্যধিকারী শোভাসিংহ , ইনি মেদিনীপুরের চেতে বরদার তালুকদার (১)। বদ্ধমানের জমিদার রাজা কৃষ্ণরাম রায়ের সহিত বিবাদ উপলক্ষে অস্ত্ৰধারণ SSSSS BBB BBB BBBB BBBB BBBB BBB BB BBB BB BBBS করিয়াছেন। তারিখ বাঙ্গালায় “চিক্ষুন্নাৰদ।” আছে।