পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * বাদশাহী বৃথা উদ্যম । ○RQ যথাসম্ভব মায়োজন করিয়া রাখিয়ছিলেন। বাঙ্গল হইতে এক দল ইংরেজ ও সিপাহী সৈন্ত কাপ্তেন নক্সের অধীনে সাহায্যাৰ্থ প্রেরিত হইয়াছিল। এ দিকে মুসে ল সাহেবের সাহায্যে বাদশাহীসৈন্ত পাটন আক্রমণ করিয়া, নগরপ্রাচীরের এক স্থান ভেদ করিতে সমর্থ হইয়াছিল। সে দিন কোনও প্রকারে নগর রক্ষা পাইল। কিন্তু পুনরায় আক্রান্ত হইলে নিরুপায় ভাবিয়া, সকলে যখন একরূপ হতাশ প্রায় হইয়াছে, এমন সময়ে কাপ্তেন নক্সের সৈন্যদল পাটনার নিকটবৰ্ত্তী হইল। এই ভয়ানক গ্রীষ্মে ও কাপ্তেন সাহেব ত্রয়োদশ দিবসে পাটনা পহুছিয়াছিলেন। সৈন্তগণের উৎসাহবৰ্দ্ধনের নিমিত্ত স্বয়ং অশ্বারোহণে ন গিয়া, সমস্ত পথ পদব্রজে গমন করেন। ঐ দিন রাত্রেই শত্রুশিবিরের সমস্ত সন্ধান অবগত হইয়া, সুদক্ষ নক্স সাহেব পর দিন মধ্যাহ দ্বিপ্রহরের সময়ে বাদশাহী-সৈন্ত আক্রমণ করিয়া তাহাদিগকে বিপৰ্য্যস্ত করিয়া ফেলিলেন । শা আলম তখন টীকারীর দিকে প্রস্থান করিয়া আহম্মদ খা আবদালীর প্রেরিত কাল্পনিক সাহায্যের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। এ দিকে খাদেম্ হোসেন খা বাদশাহের সহিত যোগ দিবার অভিপ্রায়ে পূৰ্ব্ব পার হইয়া অগ্রসর হইয়াছেন সংবাদ পাইয়া, মীরণ ও কেলড পশ্চিম পার দিয়া যাত্রা করিতে লাগিলেন ; কাপ্তেন নক্সকে সংবাদ দেওয়া হইয়াছিল, যতদিন বাঙ্গলার সৈন্য না পৌছে, ততদিন পাটনার পর পারে গিয়া পূর্ণিয়া-সৈন্যকে কোন প্রকারে লিপ্ত রাখেন। খাদেম হোসেন হাজিপুরের নিকট পহুছিলে, নক্স পর পারে গিয়া উহাকে আক্রমণের ইচ্ছ। প্রকাশ করিলেন। নাগরিকেরা এই কথা উন্মত্তের প্রলাপ মত বোধ করিল। ইংরেজ দল অতি ক্ষুদ্র ; রামনারায়ণের সৈন্য ভয়ে তাহাদের সহিত যাত্র করিতে অসম্মত হইল। কিন্তু রাজা শ্বেতাব রায় আপনার দুই তিন শত সৈন্য সহ সাগ্রহে কাপ্তেন সাহেবের দলে যোগ দিলে দুই শত গোরা, এক হাজার সিপাহী ও পাঁচ শত অশ্বারোহী লইয়া তাহারা পরপারে উপনীত হইলেন। শ্বেতাব রায়ের সহিত পরামর্শ করিয়া নক্স রাত্রিকালে অন্ধকারের সুযোগে শত্রুপক্ষ আক্রমণ করাই স্থির করিলেন । কিন্তু নৈশ-অন্ধকারে পথভ্রষ্ট হওয়ায় উদ্দেশু কার্যে পরিণত হইতে পারিল না। দুই ঘণ্টা রাত্রি থাকিতে সৈন্যগণ বিশ্রামের আয়োজন করিবে, এমন সময়ে শত্রুপক্ষের অগ্রগামী সৈন্যদল তাহাদের সম্মুখীন হইল। নক্স ক্ষণমাত্র বিলম্ব না করিয়া যুদ্ধার্থে প্রস্তুত হইলেন । চতুর্দিকে আক্রান্ত হইলেও নক্স ও শ্বেতাব রায়