পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○rb- বাঙ্গলার ইতিহাস । ১৪শ অঃ। বলবুদ্ধি করিয়াছে, উহার শীঘ্রই তাহার বিরুদ্ধে আগমন করিবে সংবাদ পাইয়া রাজা পূৰ্ব্বহুত্রেই দুই সহস্র সৈন্তসহ নিজ সেনাপতিকে মুঙ্গের অভিঃ মুখে প্রেরণ করিলেন। রাজসৈন্ত মুঙ্গেরের তিন মাইল দূরে শিবির সন্নিবেশ করিল। পর দিন প্রাতে তাহারা মুঙ্গের আক্রমণে অগ্রসর হইবে শ্রবণ করিয়া, ষ্ট্রেবলস রাত্রি এক ঘটিকার সময়ে সদলে স্থলুপ্ত শত্রুশিবির আক্রমণ করিলেন । ( ১ ) অতর্কিতভাবে আক্রান্ত ও সিপাহী সৈঙ্গের প্রচণ্ড বিক্রমে পরাভূত হইয়া বিদ্রোহিদল পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিল। মোগল অশ্বারোহী পশ্চাদ্ধাবন করিল। জয়োল্লাসে উদ্দীপ্ত ইংরেজদল আট ক্রোশ দূরে বিদ্রোহী রাজার শিবিরের দিকে অগ্রসর হইল। পুনরায় যুদ্ধারস্ত হইল ; পুনরায় রাজসেনা পরাভূত হইয়া রাজবাটীর পরিখার মধ্যে আশ্রয় লইল । এখানেও প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়া বিদ্রোহিদল পযুদস্ত হইল। ইংরেজদল খড়গপুরে অগ্নিসংযোগ করিয়া রাজবাটী ও সমস্ত গ্রাম ভক্ষ্মীভূত করিয়া প্রত্যাবৃত্ত হইল। এইরূপে দুইটি জমিদারী বিদ্রোহ প্রশমিত হইল । ১৭৬০ খৃষ্টাব্দের শেষ দিনে কর্ণেল কেলণ্ড, মেজর কার্ণাকের হস্তে বঙ্গীয় সৈন্তের ভারাপণ করিয়া কলিকাতায় প্রত্যাগমন করিলেন। কর্ণাকৃ সত্বরে শ। আলমের বিরুদ্ধে সৈন্যচালনার মনস্থ করিলেন। শা আলমের দল এক্ষণে গয়ায় ও বিহারের নিকটে সৈন্ত সমবেত করিয়া প্রজাবর্গের নিকট রাজকর আদায় করিতেছিল। সম্প্রতি কিয়ংকাল এই অঞ্চলে নিরুদ্বেগে অবস্থান করায় পুনরায় শ আলমের বলবৃদ্ধি হইতেছিল। সময়ে সময়ে বঙ্গীয় সেনার মধ্য হইতে দলত্যাগ করিয়া অনেকে তাহার সহিত ৰোগ দিতেছিল কিন্তু দলপতিগণের মধ্যে পরম্পর ঐক্য ছিল না। কামগার খার অযথা আধিপত্যে ঈর্ষান্বিত হইয়া জমিদার বলবন্ত সিংহ ও পালোয়ান সিংহ এ যাত্রায় যোগদান করেন নাই। পক্ষান্তরে বাঙ্গলার জমিদারগণের মতিগতি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া কিঞ্চিৎ আশারও সঞ্চার হইয়াছিল। মেজর কণাক নবাবী সৈন্তের অধিনায়ক রাজা রাজবল্লভ ও রামনারায়ণকে সদলবলে ইংরেজ সেনার সহিত যোগদানে আহবান করিলে বিভ্রাট উপস্থিত হইল। দেওয়ান নবং রায়ের সহিত প্রেরিত অর্থেও বঙ্গীয় সৈন্তের অসন্তুষ্ট দূরীভূত হয় নাই। সেনানায়ক রাজদ্ধে ও কোন কার্য্যে ( , ) Ninth Report, of the Select committee.