পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪শ অঃ। রাজা শ্বেতাব, রায় । Ֆ) Ն:, হইল। ( ১ ) র্যাহারা আকার-ইঙ্গিতে রামনারায়ণের সাহায্য করিতেছিলেন, তাহাঁদের ও উপরে অকথ্য অত্যাচার হইতে লাগিল । জায়গীরদার রাজ সুন্দর সিংহ রামনারায়ণের বন্ধু বলিয়া কারারুদ্ধ হইলেন ; সঙ্গে সঙ্গে তাহার দেওয়ান ও কোষাধ্যক্ষ গঙ্গাবিষ্ণুও সেই পথের পথিক হইলেন। রামনারায়ণের ভ্রাতা ধীরাজনারায়ণ ও চরাধ্যক্ষ রাজা মুরলীধরকে অশেষ যন্ত্রণ দিয়া বন্দীবেশে মুর্শিদাবাদ প্রেরণ করা হইল। পাটনার কোতোয়াল, মহম্মদ ইশাখ, ও প্রধান কুঠিয়াল মনসারাম শাহুর নিকট বহু উৎপীড়নের পর যথেষ্ট অর্থ সংগৃহীত হইল। সরকারী বা রামনারায়ণের অর্থ বলিয়া পাটনার সমুদয় আট নাগরিকের সঞ্চিত কোষে নবাবের দৃঢ় মুষ্টি প্রসারিত হইল । হতভাগ্য রামনারায়ণ পাটনায় বন্দীভূত রহিলেন ; তাহার শোচনীয় পরিণাম পরে উল্লিখিত হইবে। রামনারায়ণের বন্ধু রাজা শ্বেতাব রায়কেও এই ভাবে নিৰ্য্যাতন করিবার সঙ্কল্প হইয়াছিল। শ্বেতাব রায় বাদশাহের নিয়োজিত কৰ্ম্মচারী ; রোটাস দুর্গের এবং বিহারে বাদশাহী সেনাপতির জায়গীরের তত্ত্বাবধান তাহার হস্তে ন্যস্ত ছিল। নবাব মীর কাসেম বাদশাহের নিকট হইতে বিহারের দেওয়ানী লাভ করিয়াছিলেন ; সুতরাং শ্বেতাব রায়ও নিকাশী দায়ে পড়িলেন। তীক্ষ বুদ্ধি ও সৎসাহসের জন্ত শ্বেতাব রায়ের মুখ্যাতি ছিল ; স্বীয় বীরত্বদয়ের বলে এবং ইংরেজপক্ষের মধ্যস্থতায় তিনি নব নবাবের করাল কবল হইতে মুক্তি পান। রামনারায়ণের মত র্তাহাকেও তাহার পাটনার আবাসবাটীতে ধৃত করিবার কল্পনা হইলে, তিনি স্বজনবর্গ সহ আত্মরক্ষার জন্ত প্রস্তুত হইলেন। শেষে ইংরেজপক্ষের অনুরোধে বিচারের নিমিত্ত তাহাকে কলিকাতায় প্রেরণ করা হইল। সেখানে ইংরেজ-সদস্যগণ অনুগ্রহ করিয়া তাহাকে নবাবের রাজত্ব ত্যাগ করিয়া অন্যত্র গমন করিবার আদেশ দিলে, এক দল ইংরেজ সৈন্ত সঙ্গে সরযু পার হইয়া তিনি অযোধ্যার নবাবের রাজ্যে প্রস্থান করিলেন । ( ২ ) এই সমস্ত গোলযোগ ও নৃশংস ব্যাপারের মূল কারণ পর্যালোচনা করিলে দৃষ্ট হয় যে, ঘটনা-সম্পৃক্ত সকল পক্ষের ব্যবহারই নিন্দনীয়। নবাব (১) ইহা প্রভূত অর্থ (গোলাম হোসেনের কথায়) বলা যায় না। পাটনার নবাব-ভাণ্ডারে এই পরিমাণ অর্থ সাধারণ ব্যয়নিৰ্ব্বাহের উপযোগী মাত্র । ( ) মুতাক্ষরী৭-২য় খণ্ড ।