পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: বাঙ্গলার ইতিহাস । سياسي!ړئ. করিতে বাধ্য হইলেও কোম্পানীর কৰ্ম্মচারিগণ সুবিধা পাইলেই নিয়ম ভঙ্গ করিতেন, ইহাও ইতিপূৰ্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। কোম্পানী বৈদেশিক বাণিজ্যের ফলভোগ করতেন ; কৰ্ম্মচারিগণের ব্যবসায় এক প্রদেশ হইতে অন্তর, কোন কোন সময়ে আরব পারস্ত পর্যন্তও অগ্রসর হইত। সিরাজু দৌলার পতনের পর বাঙ্গলায় ইংরেজ-কোম্পানীর অবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজ মাত্রেরই বাণিজ্যের পথ আরও পরিস্কৃত হইল। স্বাধীন বাণিজ্য এক্ষণে নবোদ্যমে পক্ষ-বিস্তার আরম্ভ করিল। নবাব মীরজাফরের শিথিল শাসনকালে এইরূপ বাণিজ্য ক্রমশঃ লব্ধপ্রসর হইলেও, ক্লাইবের স্থায় ক্ষমতাশালী লোকের সমক্ষে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে অধিক অপকীৰ্ত্তি দর্শন দেয় নাই ; মফঃস্বলে গোপনে ইংরেজ-গোমস্তাগণ সুবিধা পাইলে দেশীয় শাসনকে উপেক্ষা করিতেন মাত্র। অতঃপর ক্রমশঃ গবর্ণর বা স্থানীয় কুঠার অধক্ষের স্বাক্ষরিত দস্তক দেখাইয়া সমস্ত ইংরেজের দেশীয় ব্যবসায় চলিতে লাগিল । সমধিক লাভ লক্ষ্য করিয়া এক্ষণে সমগ্র ইংরেজদল নিজ নিজ বাণিজ্যের যথাসাধ্য প্রসার করিলেন । দেশীয় বণিকূ-সম্প্রদায় যেখানে শতকরা পাচ টাকা হইতে ২০ টাকা পৰ্য্যন্ত শুল্ক দান করিতে বাধ্য, ইংরেজ তথায় মাশুল-মুক্ত ; এ অবস্থায় অধিকসংখ্যক দেশীয় বাণিজ্য ক্রমে ইংরেজ-বণিকের হস্তে আসিবে, ইহা স্বাভাবিক । দ্বিতীয় বিপ্লবে মীরকাসেনের রাজ্যলাভের পর দেশীয় শাসনের উপরে সমধিক ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজ-বণিক সৰ্ব্বতোভাবে শৃঙ্খল মোচনের প্রয়াস পাইলেন। গবর্ণর ভান্সিটার্টের শাসন ক্ষমতা সৰ্ব্বদাই উপেক্ষিত হইত, অধিকন্তু স্বয়ং গবর্ণরও এইরূপ বাণিজ্যের ফলভোগী : সুতরাং কি কেরাণী কি সেনানী সকল বিভাগের ইংরেজ-কৰ্ম্মচারীই এক্ষণে ব্যবসায়ে মত্ত হইলেন। কেহ বা ইউরোপীয় কোন স্বাধীন বণিক, কুত্ৰাপি বা দেশীয় কোন ভাগ্যবান লোককে অংশীদার লইয়া ব্যবসায় চালাইতে লাগিলেন। ইহাতে কেবল সরকারী রাজস্বের ক্ষতি বা দেশীয় বণিকসম্প্রদায়ের সর্বনাশ হইতে লাগিল তাঁহাই নহে ; ইংরেজের মফঃস্বলের গোমস্তাদল প্রজাবর্গের উপরেও যথেষ্ট অত্যাচার আরম্ভ করিলেন। ইংরেজ-বণিকের অপব্যবহারের কথা নবাব বারম্বার ইংরেজ-গবর্ণরের কর্ণগোচর করিলেন। হেষ্টিংসের দৌত্যকার্য্যে যাত্রাকালে তিনি স্বয়ং এই স্বাধীন বাণিজ্যের অনাচার প্রত্যক্ষ করিয়া ভান্সিটার্টকে এক পত্রে লিখিয়াছিলেন,-“ইংরেজ কোম্পানীর নামে ইংরে