পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - || বাণিজ্যে বিপত্তি । ○b-> জের কথা দুরে থাকুক, দেশীয় লোকের বাণিজ্য ও অবাধে চলিতেছে। লোকে কোম্পানীর গোমস্ত বা সিপাহী সাজিয়া প্রজাবৰ্গকে ভয় প্রদর্শন কুত্ৰাপি বা লাঞ্ছিত করিয়া এইরূপ বাণিজ্য চালাইতেছে । পথিমধ্যে অনেক স্থলে ইংরেজের পতাকা দর্শন করিয়াছি। আমার বিশ্বাস, এরূপ পতাকা নাই, নদীবক্ষে এমন নৌকা দেখি নাই | ক্রমাগত এই ভাবে কাৰ্য চলিতে থাকিলে, ইহা নবাবের রাজস্ব, দেশের শান্তি বা ইংরেজের স্বনামের অনুকুল হইবে বোধ হয় না । আমাদের অগ্ৰে এক দল সিপাহী গিয়াছে ; তাহাদের কার্য্যে এই শ্রেণীর লোকের ব্যবহার ও অত্যাচার বিশেষ লক্ষিত হইতেছে । পথিমধ্যে এজন্য আমার নিকটে অনেক অভিযোগ হইয়াছে। আমরা অগ্রসর হইলে আবার তদ্রুপ আচরণের পুনরাবৃত্তির বিভীষিকায় অনেক ক্ষুদ্র গঞ্জ ও সরাই জনশূন্ত হইয়াছিল।” ( ) ইংরেজ-গবর্ণর হেষ্টিংসকে নবাবের সহিত সাক্ষাতে এতৎসম্বন্ধে কিরূপে সুব্যবস্থা করা যাইতে পারে তাহ নিদ্ধারণ করিবার নিমিত্ত পরামর্শ দিয়াছিলেন। কিন্তু দিন দিন মফঃস্বলে ইংরেজের দুরাচারের কথা নবাবের কর্ণগোচর হইতেছিল। হেষ্টিংস ও বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত নহেন ; সুতরাং এই ব্যক্তিগত ব্যবসায় সম্বন্ধে কোনই শেষ মীমাংসা হইতে পারিল না। অতঃপর প্রপীড়িত প্রজাবর্গের ক্রমাগত আৰ্ত্তনাদে এবং কৰ্ম্মচারিগণের নিয়ত অভিযোগে সবিশেষ উত্ত্যক্ত হইয়া নবাব মীরকাসেম ভান্সিটার্টকে এই মৰ্ম্মে পত্র লিখিলেন,—“আপনাদের সহিত সন্ধির পরে এই প্রদেশে আসিয়া অবধি আমি এমন কোন কাৰ্য্যই করি নাই, যাহাতে পরম্পরের বন্ধুত্বের ব্যাঘাত ঘটে ; অথচ আপনি লিখিয়াছেন আমার পক্ষের চক্ৰী লোকে আমাদের মধ্যে বিরোধ ঘটাইবার উদ্যোগে আছে। ইংরেজ-কৰ্ম্মচারিবর্গ দেশের সর্বত্র প্রজাগণের সর্বনাশ সাধন এবং সরকারী কৰ্ম্মচারিগণকে নানা উপায়ে লাঞ্ছিত করিয়া আমার শাসনের উপর সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করিতেছেন। প্রত্যেক পরগণায় দশ বিশটি নুতন কুঠী স্থাপন করিয়া কোম্পানীর দস্তক দেখাইয় পতাকা উড়াইয়া, রাইয়ং ও দেশীয় বণিকবর্গের উপর অত্যাচার করিতেছেন, –প্ৰহার পর্য্যন্ত চলিতেছে। প্রত্যেক স্থানে ( ; ) Vansitart's Narrative, vol II pp. 79–84, Letter from Hastings to the Governor.