পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Չ:Տ Ն বাঙ্গলার ইতিহাস । 학: || প্রচার ও দৃঢ় সংস্থাপনের উপায় বিধান করা হইয়াছিল। এক্ষণে ইংরেজগবর্ণরের সহিত নিৰ্দ্ধারিত ইংরেজের বাণিজ্য-বিষয়ের ব্যবস্থা স্থির হওয়ায় সেদিকে আর কোনই চিন্তার কারণ নাই ভাবিয়া মার্কাসেম সসৈন্তে গঙ্গাপার হইয়া উত্তর পশ্চিমে যাত্রা করিলেন । বেতিয়ার বিদ্রোহী জমিদারকে সহজেই আয়ত্ত করিয়া ( জানুয়ারী-১৭৬৩ ) নেপাল আক্রমণের মনস্থ করিলেন। নেপালরাজের লোক-বিশ্রুত বিপুল অর্থ-ভাণ্ডার অর্থ-পিপাসু মীরকাসেমের হৃদয়ে প্রবল উৎসাহ জাগরিত করিল। ( ১ ) লাসা হইতে আগত সন্ন্যাসী ফকিরদিগের এবং দুই এক জন ফরাসী পাদরীর সাহায্যে পাৰ্ব্বত্যপথের সমস্ত সন্ধান অবগত হইয়া বঙ্গীয়-সৈন্ত মোক্‌বানপুর পর্য্যন্ত অগ্রসর হইল । এখানে তাহার একদল নেপালী-সৈন্তের সাক্ষাং পাইল ; এবং ঘোরতর যুদ্ধ আরম্ভ হইল। নেপালী হিন্দুবীরগণ অসমসাহসে ও বিপুলবিক্রমে যুদ্ধ করিলেও গুর্গিন খার সুশিক্ষিত সেনাদলের নিকট পরাস্ত হইলেন। শিক্ষা ও নৈপুণ্য, সাহস ও শারীরিক বলকে পরাভূত করিল। উভয় দলের হতাহত সংখ্যা অপরিমিত হইল। কিন্তু একদিন নিশাযোগে নবাবী-সৈন্ত নিদ্রিত, এমন সময়ে প্রচণ্ড গুরখাদল নবাব-শিবির আক্রমণ করিয়া গুগিন খার পটমণ্ডপ পর্য্যন্ত পহুছিল। সহসা আক্রমণে বঙ্গীর-সৈন্ত বিত্রস্ত হইলেও পরিশেষে গুরথাগণ পৃষ্ঠপ্রদর্শনে বাধ্য হইল। কিন্তু ইহাতেই মীরকাসেমের সমর-সাধ মিটিল। শক্রদলের সাহস এবং পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে যুদ্ধকাৰ্য্য পরিচালনা কিরূপ কষ্টসাধ্য ব্যাপার তাহার পরিচয় পাইয়া জয়ের আশা বিসর্জন দিয়া বাঙ্গলার নবাব সমগ্র সৈন্তের প্রত্যাবর্তনের আদেশ দিলেন। সেনাদল যতক্ষণ পাৰ্ব্বত্যপথ অতিক্রম না করিয়াছিল, ততক্ষণ নেপালীরা পশ্চাদ্ধাবন ও ক্ষতিসাধনে ক্ষান্ত হয় নাই। নানা বিপত্তির পরে নবাব সৈন্ত সমতল প্রদেশে উপনীত হইয়া পরিত্রাণ পাইল। ( ২ ) BBBBBS BBB BB BBB BBBS BB BBBBB BBBB DDBBB BBB BB নবাবের অনুমতি না লইয়াই পত্র দিয়াছেন ইত্যাদি দোষ গ্রহণ করিয়া রাজবল্লভকে পদচ্যুত করা সহজসাধ্য হইয়াছিল। অতঃপর রাজবল্লভ এক প্রকার বন্দিভাবেই মুঙ্গেরে বাস করিতেছিলেন। তাহার পরিণাম পরবর্তী অধ্যায়ে দৃষ্ট হইবে। - (১) মুতাক্ষরীণকার এ স্থলে গুর্গিন থার উপরেই দোষারোপ করিয়া নিশ্চিন্ত। নবাব সেনাপতিত্ব লোভ-পরতন্ত্রতা প্ৰভু অপেক্ষ অধিক ছিল, বোধ হয় না। SBBBBBSS BBB BB BBB BBB BB BBB BBBB