পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ):Տե- বাঙ্গলার ইতিহাস । : || বিলাতে ডিরেক্টরগণ র্তাহীদের এ দেশের কৰ্ম্মকৰ্ত্তার পদের গুরুত্ব থাকে, এই অভিপ্রায়ে চিরদিন উপদেশ দিয়া আসিয়াছেন, দেশীয় রাজগণের সহিত পত্র-ব্যবহার প্রেসিডেন্টেরই কাৰ্য্য। এ স্থলে কাউনসিল কর্তৃপক্ষের আদেশ কথায় মান্ত করিলেও প্রকৃতপক্ষে তাহার উদ্দেশু ও মৰ্ম্ম যথেষ্ট অবহেলা করিলেন । ( ১ ) তাহদের শীলতাও এক্ষণে র্তাহাদিগকে পরিত্যাগ করিয়াছিল। ইতিমধ্যে ঢাকা ও অন্যত্র ব্যবসায় লইয়। কোম্পানীর কৰ্ম্মচারী ও দেশীয় কৰ্ম্মকর্তৃগণের মধ্যে বিবাদ ক্রমেই গুরুতর হইয়া আসিল। পাটন-কুঠার অধ্যক্ষ এলিস অব্যাহতভাবে ব্যবসায় চালাইবার জন্য সেনাদলের ব্যবহার আরম্ভ করিয়াছিলেন। এক দিন এক দল সৈন্ত আকৃবর আলী নামক নবাবের জনৈক শুল্ক বিভাগের কৰ্ম্মচারীকে বন্দীভূত করিয়া পাটনায় আনয়ন করিল এবং তাজপুরে সোরার ব্যবসায় রক্ষা করিবার জন্ত দ্বাদশ জন সিপাহী রাখিয়া আসিল । নবাব এই সময়ে প্রত্যাবৃত্ত হইয়া সসৈন্তে পাটনার নিকটে অবস্থান করিতেছিলেন। চক্ষুর সমক্ষে এইরূপ ব্যবহারে ক্রোধান্ধ হইয়। তিনি তৎক্ষণাং পাঁচ শত অশ্বারোহী প্রেরণ করলেন । সৈন্যদল যথাসময়ে কাৰ্য্যস্থলে উপনীত হইতে না পারায় কৰ্ম্মচারীর উদ্ধারসাধন হয় নাই ; কিন্তু উহার ক্ষুদ্র সিপাহীদলকে আক্রমণ করিলে, চারি জন নিহত এবং অবশিষ্ট্রের আত্মসমর্পণ করিল। কোম্পানীর গোমস্ত ও সিপাহী কয়েকজন কারারুদ্ধ হইয়। নবাব-সমক্ষে আনীত হইল। তাহদের বিশেষ অপরাধ নাই বলিয়া, ইংরেজ-সৈন্ত আনয়ন জন্ত গোমস্তাকে ধমক দিয়া নবাব তাহদের সকলকে বিদায় দিলেন। এক্ষণে পাটনায় এক জন দক্ষতর লোকের প্রয়োজন বলিয়া অন্ততম সেনানী মীর মেহেদী খাকে পাটনার নায়েব সুবা দারীতে প্রতিষ্ঠিত করিয়া নবৎ রায়কে মুঙ্গের-দরবারে আসিবার আদেশ প্রদত্ত হইল। (২) অতঃপর মুঙ্গেরে উপনীত হইয়া ইংরেজ-দরবারের মন্তব্যপত্রে নবাব তাহীদের সমস্ত কল্পনা অবগত হইলেন। অবিলম্বে পূৰ্ব্বপ্রতিজ্ঞ মত (১) অন্যতম সদস্ত জনষ্টোন এই আদেশ একবারেই উড়াইয়া দিয়া পত্রে সমস্ত সদস্তের নাম থাকিবীর প্রস্তাব করিলেন। অন্তে ততদূর অগ্রসর না হওয়ায় শেষে গবর্ণরের নামেই পত্র প্রেরিত হইল । (২) মুতাক্ষরীণ, দ্বিতীয় খণ্ড, ২১৭ পূঃ ।