পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- || জগৎশেঠের কারাবাস । 8 o o সদস্তবর্গ ইহাতেও প্রতিনিধি প্রেরণ স্থগিত রাখিলেন না ; আশা হইল, বুঝাইয়া বলিলে তখনও নবাবের মত পরিবর্তন হইবে। তাছাদের সঙ্গে প্রেরিত, লিখিত উপদেশের সহিত মাশুল আদায় নিষেধের আদেশ উঠাইয়া লইবার প্রস্তাবও থাকিল, বলাই বাহুল্য। ৪ঠা এপ্রেল দূতদ্বয় সদলে যাত্রা করিলেন। ইতিমধ্যে ইংরেজ ও রাজকৰ্ম্মচারিদলের মধ্যে বিবাদের মাত্রা আরও বৰ্দ্ধিত হইল। পাটনার অধ্যক্ষ এলিসের কার্য্যকলাপ আরও ভীষণতর হইয়া উঠিল। বাণিজ্যরক্ষার নিমিত্ত কাউন্সিলের সাধারণ আদেশ তাহার হস্তের বলবৃদ্ধি করিয়া দিয়াছিল। ইতিপূৰ্ব্বে বার্বন দরজা নামে ইংরেজ-কুঠার সম্মুখে পাটনার নগর-প্রাচীরের একটি ক্ষুদ্র দ্বার লইয়া এলিসের সহিত নবাব-কৰ্ম্মচারীর বিবাদ উপস্থিত হয়। ইংরেজের দুই চারি জন লোক ঐ দ্বার দিয়া নগরে পলায়ন করিত বলিয়া তাহাদের অনুরোধেই ঐ দ্বার অবরুদ্ধ করা হইয়াছিল। নগরের পশ্চিমদার দিয়া ঘুরিয়া আসিতে বিলম্ব হয় বলিয়া, এলিস ঐ দ্বার খুলিয়া দিবার অনুরোধ করেন। নবাব অস্বীকার করিয়া ঐ দ্বারের সম্মুখে গড়খাত কাটাইয়া ঐ দিক সুদৃঢ় করাইবার আদেশ দেন। এলিস ইহাতেই নবাব যুদ্ধসজ্জার আয়োজন করিতেছেন বলিয়া জানাইলে, এলিসের মতানুবৰ্ত্তী সদস্যদল নবাবের ভাব বুঝিয় তাহাকে ও প্রস্তুত থাকিবার আদেশ প্রেরণ করিয়াছিলেন। এলিস ও আদেশ পালনে কালক্ষেপ করেন নাই। উভয় পক্ষের বিবাদ ক্রমে ঘনীভূত হইতে লাগিল ; পরম্পর ভবিষ্যতের জন্ত প্রস্তুত হইতে লাগিলেন। ১৪ই এপ্রেলের মন্ত্রণা-সভায় কলিকাতা-দরবার ভবিষ্যৎ যুদ্ধকাৰ্য্য পরিচালনার কল্পনা এক প্রকার স্থির করিয়া ফেলিলেন এবং এলিসকে উপরোক্ত আদেশ ও উপদেশ প্রেরণ করিলেন । নৰাৰ মীর কাদেমও এ বিষয়ে অমনোযোগী ছিলেন না। কিন্তু এই সময়েই তিনি ইংরেজ-পক্ষের সন্ধিভঙ্গের কথা লইয়া কোম্পানীর নামে এক বিস্তৃত পত্রও কলিকাতায় প্রেরণ করিলেন । ( ) ইতিপূর্বেই নবাব মীর কাসেম যুদ্ধ-ব্যাপার আসন্ন প্রায় মনে ভাবিয়া সেনাপতি গুর্গিন খার পরামর্শে জগৎশেঠ ভ্রাতৃদ্বয়, মহাতাপ রায় ও রাজা স্বরূপচাদকে আয়ত্ত করিবার কল্পনা স্থির করিয়াছিলেন। পূর্ব পূৰ্ব্ব বিপ্লবে জগৎশেঠের মন্ত্রণায় ও অর্থবলে কত দূর কার্য্য হইয়াছে তাহা তাহার অজ্ঞাত ( ; ) Nabob's letter to the Company, 21st April, 1763. (to