পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 * * বাঙ্গলার ইতিহাস । - ছি না ; মীরজাফরের হস্ত হইতে রাজ্য-গ্ৰহণ-সময়েও শেঠের সাহাষ্য অ’ কি হইয়াছিল। ইহার এক্ষণে মুর্শিদাবাদে থাকিলে সবিশেষ চিন্তার বিব। নবাব সঙ্গে সঙ্গেই বীরভূমির ফৌজদার মহম্মদ তকী খার প্রতি আদেশ দিলেন, পত্রপাঠ সদলে মুর্শিদাবাদ গিয়া জগৎশেঠের আবাস-বাটী অবরুদ্ধ করবেন এবং মুঙ্গের হইতে প্রেরিত সৈন্যদল সহ শেঠদ্বয়কে নবাবসকাশে প্রেরণ করিতে হইবে। তকী খা আদেশ-প্রাপ্তি মাত্র মুর্শিদাবাদ আগমন ও শেঠভবন বেষ্টন করিলেন । শেঠদিগকে অবগত করা হইল “কোন চিন্তা নাই, আপনাদের প্রতি কোনই অত্যাচার হইবে না ; নবাবের আদেশ, মুঙ্গেরে গিয়া বাস করিতে হইবে” । শেঠ প্রবর নিরূপায় দেখিয়া মুঙ্গের যাত্রার জন্ত প্রস্তুত হইলেন। মীর কাসেম নানা কথায় শান্ত করিয়া মুঙ্গেরে কুঠী নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস এবং দরবারে তাহদের পূৰ্ব্ব-কাৰ্য্য করিবার অনুরোধ করিলেও প্রবীণ শেঠ ভ্রাতাদ্বয়ের প্রকৃত বিষয় হৃদয়ঙ্গম করিতে বিলম্ব হইল না। তাহাদের উপর কোন অনাচার না হইলেও, তাহদের কার্যকলাপে লক্ষ্য রাখিবার নিমিত্ত লোক নিযুক্ত হইল। ( ) ইতিপূর্বেই রাজা রামনারায়ণ, রাজবল্লভ প্রভৃতিকে মুঙ্গেরে আনয়ন করা হইয়াছিল ; কথিত আছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রও এ সময়ে মুঙ্গেরে বন্দী অবস্থায় বাস করিতেছিলেন। মীর কাসেম্ দেশীয় প্রভাবশালী লোককে এইরূপে আয়ত্ত রাখিয়া কাৰ্য্যসাধনের সঙ্কল্প করিলেন । এদিকে এমিল্লুটু ও হে মুঙ্গেরে উপনীত হইয়াছিলেন। তাহদের মনেভাব অবগত হইবার অভিলাষে প্রত্যুদগমনের ছলে নবাব মীর কাসেম গুপ্তচর সহ ঐতিহাসিক গোলাম হোসেনকে প্রেরণ করিয়াছিলেন। গোলাম হোসেনের সাবধানতায় বিশেষ কিছু কথা প্রকাশিত হয় নাই। (২) মুঙ্গেরে পৌছিয়া নবাবের সহিত প্রথম প্রথম সাক্ষাতে সৌজন্তে ইংরেজপক্ষের কিঞ্চিৎ আশার সঞ্চার হইয়াছিল, কিন্তু তাহারা প্রতারিত হইয়াছিলেন। অধিকন্তু মিলনের যে কিছু ভরসা তখনও বর্তমান ছিল, অন্ত এক কারণে তাহ সমূলে বিনষ্ট হইল। ২৫শে মে তারিখে পাটনার ইংরেজ-সৈন্তের ব্যবহারার্থ কলিকাতা হইতে প্রেরিত অস্ত্রাদিপূর্ণ কয়েক খানি নৌকা মুঙ্গেরের নিকটে উপনীত হইল। মীর কাসেম এক্ষণে ইংরেজের যুদ্ধ-সজ্জার অভিলাষ সত্য ( ) মুতাক্ষরীণ, ২য় খণ্ড –২২৫-২৬ পৃঃ । ( & ) , , ૨રજ-રજ ? ।